নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং আবাহনী ক্রীড়া চক্রের যৌথ আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শেখ কামাল ছিলেন দেশের ইতিহাসের সফল ক্রীড়া সংগঠক ও বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী একজন মানুষ। মাত্র ২৬ বছরের জীবনে দেশকে তিনি অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। সর্বোচ্চ ক্ষমতার বলয়ের খুব কাছে থেকেও তিনি ছিলেন নিজ গুণে উজ্জ্বল। মুক্তিবাহিনীর সুদক্ষ নেতৃত্ব তৈরির লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরের মধ্য থেকে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত ৬১ জনের মধ্যে শেখ কামাল ছিলেন অন্যতম। তিনি মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা বাহিনীর সংগঠনে ও তাদের প্রশিক্ষণে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ কামালের বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তার পিতাকে গ্রেপ্তার করে অজানা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি (শেখ কামাল) সুকৌশলে বাড়ি থেকে লুকিয়ে চলে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি দেশের জন্য, মুক্তিযুদ্ধের জন্য তার পরিবারের অন্য সদস্যদের একপ্রকার অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। শহীদ শেখ কামাল এক অনুপ্রেরণার নাম। তার মধ্যে অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলী ছিল। তিনি সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন।
আলোচনা সভার সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ হোসেন, স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রকিবুল হাসান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. হামিদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।
যশোর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি আসাদুজামান মিঠুর সঞ্চলনায় আরো বক্তব্যে রাখেন, যশোর সরকারি এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরামুল-উদ-দ্দৌলা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট জহুরুল আহমেদ, যশোর পৌর মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, বিকেএসপির হকির সাবেক চীপ কোচ কাওসার আলী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি এজেডএম সালেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির।
এদিকে, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ১১৭জন ক্ষুদে প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে সকল অংশগ্রহণকারী সকলের হাতে পুরুস্কার তুলে দেওয়া হয়।