নিজস্ব প্রতিবেদক, চৌগাছাঃ যশোরের চৌগাছায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার বোন মাসুরা খাতুন।
রবিবার দুপুরে প্রেসক্লাব চৌগাছার কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দিঘড়ী গ্রামের বাসিন্দা মাসুরা খাতুন অভিযোগ করেন পৈতৃক সম্মত্তি নিয়ে তার ভাই আলতাপ হোসেন বারবার তাদের মারপিট ও নির্যাতন করছে। তিনি বলেন আমরা ৮ ভাই ও ৮ বোন। আমার পিতা আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে একই গ্রামের আবু তাহের বকুলের সাথে বিবাহ দেয়। বর্তমানে আমার দুই ছেলে ও ৩ মেয়ে সন্তান আছে। তাদের নিয়ে অতি কষ্টে জীবন নির্বাহ করছি।
তিনি বলেন দিঘড়ি মৌজার ৫০১ নং খতিয়ানের ১৮৮, ২৩৩ ও ১০১৯ নং দাগ থেকে ওয়ারেশ সূত্রে ২৫ কাঠা জমি আমি পাই। ওই জমি আমি বেশ কিছুদিন ধরে ভোগ দখলসহ চাষাবাদ করে আসছিলাম। কিন্তু আমার ভাই আলতাফ হোসেন, ভাইপো হায়দার আলী, শুকুর আলী আমাকে ওই জমি চাষ করতে নানা ভাবে বাঁধা দিচ্ছে। শুধু তাইনা ওই জমি জোরপূর্বক দখল করে নেবার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। জমিকে কেন্দ্র করে কয়েকবার আমরা মারপিট ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। সম্প্রতি আমিসহ আমার মেয়েকে ব্যাপক মারপিট করে আমার ভাই ও তার ছেলেরা। তাদের মারপিটে আমার মেয়ের একটি পা ভেঙ্গে গেছে। এই অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে। আমরা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এখনো চিকিৎসাধীন আছি। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি এসে বসবাস করছি।
জমিকে কেন্দ্র করে ইতোপূর্বে তারা আমার স্বামী আবু তাহের বকুল, আমার মেয়ে রাবিয়া খাতুন, আসমা খাতুন, নাজমা খাতুনকে মারপিট করে মারাত্মকভাবে জখম করে। আমার স্বামীর হাত পা ভেঙ্গে দেয়। তারপরও তারা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। মারপিটের বিষয়ে থানায় আমরা অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি। আলতাপের সাথে পুলিশের সুসম্পর্ক থাকায় আমাদের অভিযোগ আমলে নেন না। বারবার বলছে থানায় বসাবসি করে সব ঠিক করে দেব। জমিকে কেন্দ্র করে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে তারা। তারা বলছে হাত-পা ভেঙ্গেতো কিছু হলো না। এবার তোদের খুন করব। এই অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আহত মেয়ে ও তার স্বামী উপস্থিত ছিলেন।
আর কে-১১