Sunday, May 19, 2024

মেসিকে বাংলাদেশে আনতে ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা

- Advertisement -

ফুটবল সৌন্দর্য্যের রুপকথার অনিন্দ রাজকুমার আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসি। যার বাঁ পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হয় ফুটবল প্রেমীরা। বাংলাদেশের মেসি পাগলরাও এর বাইরে নয়, মেসি জিতলে তারা জিতেন মেসি হারলে তারা হারেন। এর মধ্যেই এসেছে চমকপ্রদ খবর, আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা জানান, আমরা মেসিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চাই। বাংলাদেশে মেসিকে আনার জন্য একটি ম্যাচ আয়োজনের কথা বলেছেন এই রাষ্ট্রদূত। এর আগে ২০১১ সালে ঢাকায় ম্যাচ খেলেছিলেন মেসি।

ব্রাজিল আর্জেন্টিনা ফুটবল আর বাংলাদেশ যেন এক সূতোয় গাঁথা। বিশ্বকাপ এলেই হাজার মাইল দূরের সেই আকাশী নীল আর হলুদ রঙ যেন মিশে যায় লাল সবুজের সাথে। ভালোবাসার সেই রঙ কোন দূরত্ব মানেনা। তাইতো ঢাকা থেকে তোলা ভামোস আর্জেন্টিনা স্লোগান বুয়েনোস আইরেসের রাস্তায় প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে আসে বাংলাদেশ বাংলাদেশ শব্দে।

ফুটবল দুই দেশকে এক বিন্দুতে এনে এতোটাই মায়ার বাঁধনে বেঁধেছে যে ১৯৭৮ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া আর্জেন্টিনার দূতাবাস আবারো চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। ১০ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো কাফিয়েরো এক টুইটে জানান বাংলাদেশের সাথে নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা।

দুই দেশের এই মেলবন্ধনের পেছনে যতটা বড় ভূমিকা ফুটবলের, ততটাই ম্যারাডোনার, ততোটাই মেসির। ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে একবারই বাংলাদেশে এসেছেন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে সেই আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ প্রায় এক যুগ পেরিয়েছে। মেসি এখন কিংবদন্তি। তাকে দেখার তৃষ্ণা বাঙালীর চোখে এখন আরো বেশী। আর সেই স্বপ্ন পূরণের ইঙ্গিত দিলেন ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা।

ব্রাজিলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা, আমরা মেসিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চাই। বাংলাদেশে আমরা একটি ম্যাচ আয়োজন করতে চাই। মেসি খুব জনপ্রিয়। আমরাও ফুটবলের জন্য আর্জেন্টাইনদের ভালোবাসি। তাই আমাদের দেশে তাকে পাওয়া হবে সম্মানের এক ব্যাপার।

সাদিয়া ফয়জুন্নেসা ব্রাজিলের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে ও চিলিতেও কূটনৈতিক দূতের দায়িত্ব পালন করছেন। আর্জেন্টিনার জাতীয় সংবাদ সংস্থা ‘তেলাম’-এর সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেছেন। আর্জেন্টিনার আরেক গণমাধ্যম ‘ক্লারিন’-এও এসেছে রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য।

সাদিয়া ফয়জুন্নেসা আরও বলেন, ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে বাংলাদেশে বেশি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তখনই কিংবদন্তিতে পরিণত হন দিয়েগো ম্যারাডোনা। আমার মনে আছে, বাংলাদেশের অনেক মানুষ তখন বিশ্বকাপ দেখেছে। এখন বিভিন্ন শহরে বড় পর্দায় রাত তিনটায় জড়ো হয়ে খেলা দেখে মানুষ

কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন মেসির গোল উদযাপনের ভিডিও থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি আর্জেন্টাইনদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। লাল সবুজের আদলে তৈরি আর্জেন্টিনার জার্সি আর কোচ স্কালোনির বাংলাদেশকে ধন্যবাদ। ভালোবাসা বাটলে বুঝি বেড়েই চলে।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত