কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধিঃ কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরের প্রশাসনিক কার্যক্রমে গাফিলতি দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাল ১৯২৬ হলেও বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১৯৬২ সালে স্থাপিত লেখা বেতন রশীদ দিয়ে। শিক্ষকদের মতানৈক্য অভ্যন্তরিন বিরোধ, স্বেচ্ছাচারিতা এমনকি প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়ায় দক্ষিন খুলনার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ইতিহাস প্রসিদ্ধ কপিলমুনিতে রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু ১৯২৬ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। নানা অনিয়ম ও দুনীর্তির খবরে ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময় পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছে বিদ্যালয়টি। সম্প্রতি কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল এন্ড কলেজ, ডাকঘর-কপিলমুনি, খুলনা, স্থাপিত ১৯৬২ সাল লেখা বেতন রশীদে বিভিন্ন শ্রেণির বেতন ও পরীক্ষা ফি বাবদ টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার অভিভাবক সহ সুশীল সমাজে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অফিস করণিক শেখ আজিজুর রহমান সাক্ষরিত একটি বেতন রশীদে দেখা যায়, শিক্ষার্থীর বেতন ও পরীক্ষা ফি বাবদ ৭ শত ২০ টাকা নগদ গ্রহন করা হয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের ত্রুটিপূর্ণ বেতন রশীদকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভুল হিসেবে দাবি করলেও স্থানীয়রা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেছেন। প্রিন্টিং মিস্টেক বলে সহজে দায় এড়ানো গেলেও রশীদে স্বাক্ষরকারী অফিস করণিক শেখ আজিজুর রহমান এর দায় থেকে এড়াতে পারেন না অভিভাবক মহলের অভিযোগ।
এবিষয়ে অফিস করণিক শেখ আজিজুর রহমান সত্যতা বলেন, ছাপায় ভুল হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে রশীদগুলো বাদ দিয়েছি।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির আহমেদ বলেন, অনাকাঙ্কিত বিষয়টি প্রিন্টিং মিস্টেক।
আর কে-০২