পদকের প্রলোভন দেভিয়ে প্রতারণা থামছেই না। বিশেষ করে স্কুল কলেজের প্রধান শিক্ষকরা এ প্রতারকদের প্রলোভনে পরে টাকা খোয়াচ্ছেন। সেই প্রতারক চক্রের পাল্লায় পেড়েছেন নড়াইল জেলার সদর উপজেলাধীন শেখহাটী তপনভাগ যুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাঘারপাড়ার আজম খাঁন। তাকে এ ধরণের দুইটি এ্যাওয়ার্ড প্রদানের প্রলোভন দেখানো হয়েছে। তবে, তিনি প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দেননি।
তিনি জানান, দুই মাস আগে তাকে সাউথ এশিয়া সোস্যাল কালচারাল ফোরাম যার ঠিকানাঃ ১৭৩, দিলু রোড, মগবাজার, ঢাকা এবং মোবাইল নম্বর- ০১৭৪৪৮৭৭৭১৩ এর পক্ষ থেকে শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ”সাউথ এশিয়া গোল্ডেন পীস এ্যাওয়ার্ড-২০২২” নামে এ্যাওয়ার্ড দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। বিনিময়ে ৫ হাজার টাকা ফিস দিতে হবে বলে তারা জানান। পরবর্তীতে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল নামক আরও একটি প্রতারক চক্র যাদের ঠিকানাঃ ইন্ডিয়ান- ১০৪,গড়ফা, যাদবপুর, কলকাতা। ফোন নম্বর- ৯৮৩৬৫৩২৪৬৩ এবং তাদের বাংলাদেশের ঠিকানাঃ ৮৩/বি, মৌচাক টাওয়ার, (৮ম তলা),কক্ষ নং-৮০৮/এ, মালিবাগ মোড়, ঢাকা-১২১৭ এবং মোবাইল নম্বর – ০১৭৪৪৮৭৭৭১৩ এর পক্ষ থেকে ভারত- বাংলাদেশ বঙ্গ উৎসব এর নামে গত ১০ অক্টোবর -২০২২ তারিখে স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে তাকে ” মহাত্মা গান্ধী পীস এ্যাওয়ার্ড -২০২২” নামে এ্যাওয়ার্ড দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। তিনি আরও জানান দুইটি সংগঠনকেই একই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে দেখা যায়।বিভিন্ন সময় তাকে কল করে নানা ধরনের প্রলোভন দেখাতে থাকেন।
তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘এ এ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য তার কি করতে হবে? ‘ এ প্রশ্নের জবাবে তার নিকট ২৫ হাজার টাকা ফিস চাওয়া হয়। সবশেষে এটি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আজম।
উল্লেখ্য, ফেরিওয়ালা মাথায় ফেরি করে বিভিন্ন ধরনের পন্য বিক্রি করেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পদকের ব্যপারটিও ঠিক তেমন পরিস্থিতিতে পরিণত হয়েছে। একটি সময় পদক পাওয়ার জন্য মানুষ পাগল ছিলো। বর্তমানে একটি চক্র টাকার বিনিময়ে পদক দেয়ার জন্য পাগল হয়ে উঠেছে। দ্রুত এসব প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সবার।
রাতদিন সংবাদ