বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। গত ১৯ জুন এ পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। পরীক্ষার বিষয়ে গতকাল বুধবার বিকালে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির সভাপতি তপন সরকার বলেন, যথারীতি এবারের এসএসসি পরীক্ষা শুরু করা যাবে। বৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত কোথাও কেন্দ্রের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আশা করা যাচ্ছে, পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতেও কোনো সমস্যা হবে না। পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই।
উল্লেখ্য, কোভিড ১৯-এর কারণে পরীক্ষার বিষয়, নম্বর ও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে এবং পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষার শুরুর সময় পরিবর্তন করে সকাল ১০টার পরিবর্তে ১১টা করা হয়েছে। পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা থেকে ২ ঘণ্টা করা হয়েছে। এমসিকিউ ২০ মিনিট এবং সিকিউ ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
এ বছর ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা এবং কারিগরি বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৭৯০। মোট প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৫৯১টি। বিদেশে আট কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ৩৬৭ শিক্ষার্থী। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওযার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে। কেন্দ্রসচিব ব্যতীত কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে কেন্দ্রসচিবকে ছবি তোলা যায় না এমন ফোন ব্যবহার করতে হবে।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্ন ফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। প্রসঙ্গত, সিলেট বিভাগসহ ময়মনসিংহ অঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের কিছু জেলাতে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির কারণে এই পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। যেসব এলাকার পরীক্ষার্থীদের পাঠ্যবই বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, এসব পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে নতুন বই।
অনলাইন ডেস্ক