ফরিদপুর ভাঙ্গায় উপজেলার পুর্ব সরদি ৩ নং ওয়ার্ডের পুর্ব সদরদি গ্রামে, অবৈধ ড্রেজার ব্যাবসায়ী ও বালুদস্যুদের হাতে “দৈনিক সকালের সময়” পত্রিকার ভাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি জাহিদ শিকদার শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৭ আগষ্ট) ভাঙ্গা উপজেলার পুর্ব সদরদি গ্রামের বালুূদস্যু অবৈধ ড্রেজার ব্যাবসায়ীদের বাড়ীর সামনে সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনাটি ঘটে।
জাহিদ শিকদার বলেন, ঘটনার সময় আমি বালু উওোলনের এবং ড্রেজারের ছবি তুলে আমার বাসায় ফিরছিলাম। এ খবর পান ড্রেজার ও বালু ব্যাবসায়ী হাসেমের খবির, জামির (৩০) , আবদুল্লা (২২), ফরহাদ মাতুব্বর (৪৫)। পথিমধ্যে উল্লেখিতরা আমার গতিরোধ করে ইচ্ছামত তারা আমাকে কিল, ঘুষি,চড়, থাপ্পড়, মেরে মাটিত ফেলে দেয় এবং শরীরে পরিদেয় গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় খবির ও তার ছেলে আবদুল্লা আমার হাত ধরে টানা হেঁচড়া করলে, ডান হাতে একটি আঙ্গুলে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত পাই।
ঘটনা শুনে স্হানীয়রা এগিয়ে এসে ঘটনা শুনেন ও জানেন। গ্রামের মুরব্বীদের পরামর্শে আমি প্রথমে হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। পড়ে ভাঙ্গা থানায় গিয়ে অফিসারদের জানাই। তারা লিখিত অভিযোগ দিতে বললে, আমি থানায় অভিযোগ দেই।
উল্লেখিত, বিষয় গনমমাধ্যমের সাথে কথা হয় অভিযুক্ত মোঃ ফরহাদ মাতুব্বরের সাথে তিনি বলেন, ঘটনা শুনছি ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। ড্রেজার আপনার কিনা বালু উওোলন করছেন কার নির্দেশে।
তিনি বললেন এটা সরকারি লোকের কাজ, সরকার বালু মাটি তুলে সরকারি মাঠ তৈয়ার করা হচ্ছে। এর বেশি জানেন ভাঙ্গার ইউএনও স্যার।
এই প্রতিনিধির সাথে কথা হয়, ভাঙ্গার সহকারী কমিশনার ভুমি জনাব মাহমুদুল হাসানের সাথে। তিনি পরিস্কার করে করে বললেন, আমার উপজেলায় কোন অবৈধ ড্রেজার ও বালু ব্যাবসায়ী থাকবে না। আমি কঠোর অবস্হানে আছি। আগামীতে ও থাকবো।
ইতোমধ্যে, আমি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ টি ড্রেজার বন্ধ করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিয়েছি।
পুর্ব সদরদিতে ড্রেজার ও বালু ব্যাবসায়ীদের হাতে একজন সাংবাদিক লাঞ্চিত হয়েছেন। ঔ সাংবাদিক ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছেন। আমি ড্রেজারের বিষয় জরুরী ব্যাবস্হা নিব।
এ বিষয় কথা হয়, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আজিম উদ্দীন বলেন, পুর্বসদরদিতে সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনাটি আমি শুনেছি। কোন অন্যায় এখানে চলবে না। আমি এর প্রয়োজনীয় ব্যাবস্হা নিবো।