শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির খবরে যশোরের পাম্পগুলোতে তেল কেনার হিরিক পড়ে। রাতে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লেই যশোরের বিভিন্ন তেল পাম্পগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে ক্রেতারা।
আগেভাগে তেল মজুদ করতে দীর্ঘ সিরিয়ালে দাড়িয়ে ক্রেতাদের তেল নিতে আসতে দেখা যায় । কিন্তু অধিকাংশ ক্রেতাই তেল পাননি। এ সুযোগে তেলপাম্প কর্তৃপক্ষও নানা অজুহাতে তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। কোনো পাম্পে তেল পাওয়া গেলেও সর্বোচ্চ একজনের কাছে দুইশো টাকার তেল বিক্রি করছেন। অনেকেই তেল না কিনেই বাড়ি ফিরে যান।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার পর বিভিন্ন তেলপাম্প ঘুরে এ চিত্র উঠে আসে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির মধ্যে হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার বিষয় নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা।
এ বিষয়ে নাম গোপন রাখার শর্তে এক পাম্পের কর্মচারী জানান, তাদের কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে তেল বিক্রি করা যাবেনা।
উল্লেখ্য, ৬ আগষ্ট থেকে ডিজেল বিক্রি হবে ১১৪ টাকা লিটার যা ছিলো ৮০ টাকা , পেট্রোল আগে ছিলো ৮৬ টাকা যা বিক্রি হবে ১শ’৩০ টাকা ও অকটেন ছিলো ৮৯ যা আজ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি করার নির্দেশনা এসেছে।
করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ মানুষের আয়ের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন, অনেকের ব্যবসাও বন্ধ হয়েছে। ফলে আয় কমে এসেছে একটি বড় অংশের মানুষের। এর বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার মধ্যেই জ্বালানি তেলের এই দামের প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর বিপর্যয় নেমে আসবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষ প্রতিনিধি