যশোর শহরে নাজির শংকরপুর চাতালের মোড় এলাকার আফজাল হোসেন হত্যার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহত আফজাল হোসেনের পিতা ছলেমান শেখ তিনজনসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন। আসামিরা হলেন, নীলগঞ্জ তাঁতিপাড়ার জিন্নাত আলীর ছেলে সুজন ওরফে ট্যারা সুজন, মোশারফ হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম ও বকচর চৌধুরী বাড়ি এলাকার মৃত মোস্তর ছেলে জাহিদ হোসেন।
মামলার পর বুধবার সকালে পুলিশ এজাহারভুক্ত ইব্রাহিম ওরফে টাক ইব্রাহিমকে নীলগঞ্জ তাঁতিপাড়া থেকে আটক করেছে ।
মামলায় ছলেমান শেখ উল্লেখ করেছেন, মাদক ব্যবসায়ী ট্যারা সুজন শংকরপুর মাঠপাড়ায় মাদক বিক্রি করতেন। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে সাত মাস আগে আফজালের সাথে ট্যারা সুজনের কথা কাটাকাটি ও হাতিহাতি হয়। এই ঘটনায় ট্যারা সুজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সে আফজালকে দেখে দেয়ার হুমকি দেয়। তার জেরে গত ২৯ মে রাত সাড়ে ৭ টার দিকে আফজাল ও প্রতিবেশী সুমন দুধ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ের সিটি মডেল একাডেমির সামনে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কুড়াল, দা, চাকু নিয়ে ট্যারা সুজনসহ অন্য আসামিরা আফজালের ওপর হামলা চালায়। তারা তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করে। পরে আফজালকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আল মামুন জানান, আটক ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, নিহত আফজাল হোসেন নিজেও হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি ছিলেন।
রাতদিন সংবাদ