Sunday, May 19, 2024

দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে খাতা চুরি মামলা

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজের গোডাউন থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ৭ বস্তা মূল খাতা ও লুজ সীট চুরি করে বিক্রির ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার কালীগঞ্জ আমলী আদালতে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মামলাটি করেন। যার পিটিশন মামলা নং ৫৩/২২।
মামলার আসামি করা হয়েছে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখার সাচিবিক বিদ্যা বিভাগের সরকারী অধ্যাপক রকিবুল ইসলাম মিল্টন ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল। মামলাটি তদন্ত করে ঝিনাইদহ সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে আগামী ২১ জুন প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বাদীর আইনজীবী জাকারিয়া মিলন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার সন্ধ্যায় জানান, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজসে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন অনুষ্ঠিত ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখার বোর্ড পরীক্ষার পর অবশিষ্ট মূল খাতা ও লুজ সীট চুরি করে বিক্রি করে দেন। এই খাতা ছাড়াও কয়েক বস্তা বই কলেজের দুই কর্মচারির সামনে দিয়ে প্রকাশ্যে ভ্যানযোগে বহন করে নিয়ে যান।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয় করোনা মহামারীর কারণে পরীক্ষা না হওয়া শিক্ষা বর্ষের খাতা কলেজের গোডাউনে সংরক্ষণ করা ছিল। সেগুলো রেজিস্টারভুক্ত না করে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডলের সহায়তায় প্রধান আসামি রকিবুল ইসলাম মিল্টন বিক্রি করে দেন। খাতা চুরির ঘটনা জানার পরও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বরং ঘটনাটি ধামাচাপা দেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষাবোর্ড কলেজ অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানকে জিডি করার পরামর্শ দেন। বোর্ডের পরামর্শে কালীগঞ্জ থানায় জিডি করতে গেলে থানা জিডি গ্রহণ করেনি। ফলে আদালতে মামলা করতে বাধ্য হন। মামলায় কলেজে চাকরিরত ৬ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে সাক্ষি করা হয়েছে। কলেজের অফিস সহায়ক ও মামলার সাক্ষি শরিফুল ইসলাম জানান, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বেচে যাওয়া খাতার সঙ্গে বোর্ডের বইগুলো মিল্টন স্যার নিজের বাসায় নিয়ে যান। একই কথা বলেন অফিস সহায়ক ও আরেক সাক্ষি আমির হোসেন।
মামলার আরজিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সাচিবিক বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রকিবুল ইসলাম মিল্টন বহু কেলেংকারীর হোতা। কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মার্কসীটের ফটোকপি দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। এসাইনমেন্ট জমা দিতেও টাকা নেন তিনি।
কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান জানান, খাতা গায়েবের বিষয়টি কারিগরী শিক্ষা বোর্ড থেকে অবগত হয়ে মামলা করি। তিনি বলেন খাতা চুরির বিষয়টি সত্য। মিল্টন এর আগে ব্যবহারিক পরীক্ষায় পাশ ও বেশি নাম্বার দেবার কথা বরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। যা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রমাণ মিলেছিল।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত