Wednesday, May 15, 2024

কপিলমুনি এলাকায় কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে, প্রশাসন নিরব

- Advertisement -

আঃ সবুর আল আমীন, কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধিঃ কপিলমুনিসহ এর পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন হাট বাজারে চড়া দামে তরমুজ ওজনে বিক্রি হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তরমুজ ব্যবসায়ীরা বিঘা, ক্ষেত ও পিস হিসাবে তরমুজ কিনলেও তারা সে গুলো বাজারে কেজিতে বিক্রি করছে। যার ফলে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভ করছে, আর ক্রেতারা ঠকছে নিরবে।

কপিলমুনি ছাড়াও কাশিমনগর, আগড়ঘাটা, মামুদকাটি, মানিক তলা, নতুন হাট, গদাইপুর, বাঁকা লাড়ুলী, শামুকপোতাসহ বিভিন্ন বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। শুধু ওজনে বিক্রি নয় কোন কোন বাজারে তরমুজের দাম কেজি প্রতি বেশি নেয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ক্ষেতধরে ও পিস হিসাবে তরমুজ কেনার পাশাপাশি আড়ৎ থেকেও পিস হিসাবে তরমুজ নিয়ে আসছে, অথচ তারা বিক্রি করছে ওজনে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট আকারে প্রতি পিস তরমুজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর বড় প্রতি পিচ তরমুজ ৬০ থেকে ৯০ টাকা করে পড়ছে। সিন্ডিকেট করে তরমুজ ব্যবসায়ীরা মৌসুমের শুরুতে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করলেও এখন প্রতি কেজি ৩০/৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। সে হিসাবে ছোট বড় প্রতিটি তরমুজে তারা ৩০থেকে ৭০ টাকা লাভ করছে।

কপিলমুনি বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী কানাইদিয়া গ্রামের টিটু জানান, তিনি মাগুরখালীতে ৩বিঘা তরমুজের ক্ষেত ক্রয় করেছেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ বাজারে এনে প্রতি কেজি ৩৫/৪০ টাকা দরে বিক্রি করছে। পিচ হিসাবে তরমুজ কিনে কেজি দরে বিক্রি করার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই বিক্রি করছে তাই আমিও করছি।

কপিলমুনির বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী মোঃ সোহাগ জানান, তারা কয়রা থেকে তরমুজ ক্রয় করে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছে। অন্য তরমুজ ব্যাবসায়ীরা জানান, এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় তরমুজের দাম অনেক বেশি। ক্ষেত থেকে অনেক সময় মণ হিসাবে তরমুজ কিনতে হচ্ছে। তাই আমরা ওজনে তরমুজ বিক্রি করছি। সবাই পিচ হিসাবে বিক্রি করলে আমিও করবো। কপিলমুনির ক্রেতা হোসেন আলী জানান, কয়েক বছর আগেও পিচ হিসাবে তরমুজ ক্রয় করছি। এখন ৬ কেজি ওজনের একটি তরমুজ ১৮০ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে। যা পিচ হিসাবে ৮০/৯০ টাকায় ক্রয় করা যেত। ওজনে বিক্রি করায় তিনিসহ সকল ক্রেতা ঠকছেন বলে তিনি দাবি করেছেন।

গোপালপুর গ্রামের ভ্যান চালক বিশে গাজী জানান, তরমুজ ওজনে বিক্রি হওয়াতে একটি ছোট তরমুজ কিনতে ১০০-১৫০ টাকা লাগছে। তাই এ বছর এখনো তরমুজ কেনা হয়নি। ওজনে তরমুজ বিক্রি হওয়ায় আমাদের মত ভ্যান চালকরা তরমুজ কিনতে পারছেনা বলে তিনি জানান। উপাধ্যক্ষ ত্রিদিব মন্ডল জানান, চলছে রমজান, আর প্রচন্ড তাপদাহের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তরমুজ ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় চড়া দামে তরমুজ বিক্রি করেছেন।

বাজার মনিটরিং এর অভাবে এমনটাই হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। অন্তত রমজান মাসে তরমুজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাজার মনিটরিংএর জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা।

 

 

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত