Wednesday, May 15, 2024

কপিলমুনিতে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা বাজির মামলায় হালিমসহ তিনজন আটক

- Advertisement -

কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধিঃ দীর্ঘদিন শান্ত থাকা কপিলমুনি জনপদ ফের অশান্ত করার চেষ্টা করছে একটি সঙ্গবদ্ধ অপরাধী চক্র। এ চক্রের কয়েকজন সদস্য পূর্বে চাঁদাবাজী, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, জাল টাকার কারবার সহ ভূমি দস্যুতা করে এলাকাটি অশান্ত করে তুলেছিল।

বর্তমানে পুলিশ এদের দমনে সাফল্য দেখালেও সন্তর্পনে ভিন্ন কৌশলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরা এতটা বেপরোয়া ও দুর্ধর্ষ যে এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে কেউ সাহস পায়না। কপিলমুনি সহ এর আশপাশ এলাকায় কেউ চাঁদাবাজির শিকার হলেও ভয়ে সেটা প্রকাশ করেনা। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে এরা তখন লেবাস পরিবর্তন করে ফেলে।

যে কারনে তারা এতটা অপ্রতিরোধ্য, নিউ বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টির প্রধান মৃনালের সময় থেকে এদের তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। মৃনাল সম্রাজ্য পতনের পর এদের কর্মকান্ডে ভাটা পড়ে। তারপর রাজনৈতিক পরিচয়ে ফিরে আসে স্বমূর্তিতে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়ে থেকে এরা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। আর এদের সুরক্ষার জন্য রয়েছে রাজনৈতিক দলের কিছু নেতাদের আশির্বাদ।

এই সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের নয়া সদস্য কামাল, মুনমুনসহ তাদের সাথে আরও কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি গত ১৮ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে এগারোটার সময় ভাটা মালিক চিত্তরঞ্জন মন্ডলের কপিলমুনিস্থ বাস ভবনে যেয়ে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা দিতে ব্যার্থ হলে তার ছেলে ভবতোষকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় চিত্তরঞ্জন বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে যার নং ০৭।

ওই দিন রাতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপরাধী চক্রের দু সদস্য কামাল ও মুনমুনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ চক্রের অন্যতম সদস্য হালিম ফকির ও তার সহযোগী কিনু পালের নাম উল্লেখ করে। পুলিশ হালিম ফকির ও কিনু পালকে গ্রেফতার অভিযান শুরু করে। তবে কয়েকদিন পলাতক থাকলেও পুলিশ গত ২১ মার্চ দুপুরে পাইকগাছা পৌর এলাকা থেকে এদের দু জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। হালিম ফকির ২০০৮ সালের ১২ আগষ্ট ১৮ টি ১০০ টাকার জাল নোট সহ পুলিশের কাছে হাতে নাতে ধরা পড়ে।

এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় মামলা নং ১৫ তাং ১৩/০৮/০৮। ২৮ অক্টোবর ২০০৯ সালে রাত ৯ টায় হেরোইন ও হেরোইন সেবনে সরঞ্জাম সহ পুলিশ হালিম ফকিরকে কপিলমুনি বাজার থেকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় পাইকগাছা থানায় মামলা হয়। মামলা নং ২৫ তাং ২৯/১০/০৯। ওই বছর ডাকাতি ও ডাকাতির মুখোশ তৈরীর অভিযোগে পুলিশ হালিম ফকিরকে আটক করে। হালিমের সহযোগী কিনু পালের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে।

২০১৮ সালে ডিবি পুলিশের এস আই এজাজুর রহমান কপিলমুনির কপোতাক্ষ নদের পাড়ে ইয়াবা বিক্রয়ের সময় কিনু পালকে আটক করে। এ সময় তার কাছে থাকা ৫ পিচ ইয়াবা সে বের করে পুলিশের হাতে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করে মামলা নং ৩১ তাং ১৫/০৭/১৮।

এ ছাড়া কিনুর বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় একাধিক জিডি হয়। জিডি নং ৫৬৩ তাং ১১/০৫/২১। ৪৩২ তাং ০৯/০৯/২০২০। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত হালিম ফকির ও কিনু পালের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের খবর বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও আ লিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ঘটাতে পারে বলে এলাকার সচেতন মহল আশংকা প্রকাশ করেছে।

 

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত