Thursday, May 16, 2024

খুলনায় মাহেন্দ্রচালক হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

খুলনায় মাহেন্দ্রচালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন হত্যার দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামির হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার ইলচ্চা বাজার সাদির চর গ্রামের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ নুর ইসলাম, একই এলাকার হরিদাসের ছেলে জনি দাস, চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার ফল সমস্যা বাজার এলাকার আব্দুর রউফ সিকদারের ছেলে মো. রনি শিকদার ও বটিয়াঘাটা উপজেলা আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ মাসুদ রানা মোল্লা।
ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহমেদ জানান, ওহিদুর রহমান রিপন একজন মাহেন্দ্রচালক। তিনি সাতক্ষীরা জেলার লাবশা এলাকার শেখ তৌহিদুর রহমানের ছেলে। ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি সকালে গাড়ি চালানোর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি ফিরে না এলে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে। পরদিন নিহতের ছোট ভাই জানতে পারেন লবণচরা থানাধীন ডা. দিপু নামে এক ব্যক্তির জমিতে একজন মাহেন্দ্রচালকের মরদেহ পাওয়া গেছে। সংবাদ পেয়ে নিহতের ভাই খুলনায় এসে তাঁর মরদেহ শনাক্ত করেন।

- Advertisement -

মরদেহ দাফন শেষে তিনি জানতে পারেন গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থেকে মাহেন্দ্রসহ চারজন আটক হয়েছে। পরদিন তিনি লবণচরা থানায় এসে চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

আইনজীবী সাব্বির আহমেদ ঘটনার বিবরণ দিয়ে আরও বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে উল্লেখিত আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মাহেন্দ্র ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য খুলনায় আসার জন্য ৭০০ টাকা ভাড়ায় চুক্তিতে রওনা হন। রাত ৯টার দিকে নগরীর লবণচরা থানাধীন ডা. দিপু সাহেবের জমির কাছে পৌঁছালে আসামি মাসুদ ও রনি রশি দিয়ে ড্রাইভারকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। শ্বাসরোধে তাঁর মৃত্যু না হলে নুর ইসলাম রিপনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামিরা মরদেহ ওই স্থানে ফেলে মাহেন্দ্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গোপালগঞ্জ এলাকার কাশিয়ানী পুলিশের চেকপোস্টে গিয়ে তারা আটক হয়।
একপর্যায়ে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে। উল্লেখিত আসামিরা হত্যাকাণ্ডে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মীর আতাহার আলী চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ১৫ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক

 

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত