Sunday, May 12, 2024

খাজুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নিত্যানন্দ সরকার ও সাইফুলের বাড়িতে শোকের মাতম

- Advertisement -

খাজুরা প্রতিনধি: বাবা, ঘরে ফিরেই তো আমাকে বুকে জড়িয়ে নিতে। আজ নিতে ইচ্ছে করছে না? ইচ্ছে করছে না আমার গালে দুটো চুমু দিয়ে আদর করে দিতে, যদি করেই থাকে তাহলে আমাকে একা রেখে দূরে চলে গেলে কেন? বাবা আর একবার তুমি ফিরে আসো! কথা দিচ্ছি আর একফোটাও জ¦ালাবো না তোমাকে। বাবা হারানো দশ বছর বয়সী রাহুল বাক প্রতিবন্ধী না হলে হয়তো আর্তনাদ করে এমন কথাগুলোই বলতো। কিন্ত তাঁর বুকফাটা কান্নায় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি এলাকার নারী-পুরুষরা। রাহুলের বাবা নিত্যানন্দ সরকার (৩৮) বৃহস্পতিবার ভোরে সড়ক দুর্ঘটনায় না ফেরার দেশে চলে গেছেন। যশোরের খাজুরা বাজারের মথুরাপুর এলাকার মৃত নরেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে নিত্যানন্দ এবং বাজারের পাইপট্টি সড়কের রাহুল অটোর মালিক তিনি। এদিন বিকেলে লাশবাহি অ্যাম্বুলেন্সটি খাজুরা বাজারে পৌঁছলে  সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় নিত্যানন্দের লাশ দেখতে ভীড় করেন এলাকাবাসী। সাদা কাপড়ে মোড়ানো রক্তাক্ত দেহ দেখে চিৎকার করতে থাকেন মা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ স্বজনরা। স্বামীহারা স্ত্রী শিল্পী সরকার আর্তনাদ করে বলেন, ‘কী বলে গেলে, কার কাছে রেখে গেলে, কী নিয়ে বাঁচবো।নিত্যানন্দের বড়ভাই গৌবিন্দ সরকার জানান, বুধবার দুপুরে পিকআপ নিয়ে পুরাতন মোটরসাইকেল কিনতে ঢাকায় যান নিত্যানন্দ। তার সাথে ছিলেন ব্যবসায়িক সহযোগী স্থানীয় মির্জাপুর গ্রামের আবু বক্কারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫)। একই গ্রামের জয়নাল বিশ^াসের ছেলে আক্তার হোসেন (২৮) ছিলেন পিকআপের চালক। মোটরসাইকেল কিনে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার ভোরে গোপালঞ্জ সদরের ডুমদিয়া এলাকায় পৌঁছালে তাদের পিকআপের সাথে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় নিত্যানন্দ মারা যান এবং গুরুতর আহত সাইফুল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে মারা গেছেন। এদিন বিকেলে মির্জাপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত পিকআপ চালক আক্তার ফরিদপুর শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছেন। তার অবস্থা এখন আশংকাজনক।

 

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত