যশোরের রামকৃষ্ণপুরে আদালতের রায় ও ডিসির প্রতিবেদন উপেক্ষা করে একটি চক্র জবর দখল করে চাষাবাদ করছে। এই জবরদখলে বাধা দেয়ায় জমির মালিক পক্ষকে মারপিট করা হয়েছে। শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়েছে দ্’ুনারীর। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। জবর দখলের প্রতিবাদ ও মারপিট ঘটনায় দু’পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ নিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
আদালতের মামলা ও স্থানীয় সূত্র থেকে তথ্য মিলেছে, যশোর সদর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর মৌজার আর এস ৯০৪, ১০২৮ ও ১০৩০ দাগে জমি পৈত্রিক সূত্রে পেয়ে ভোগ দখলে ছিলেন রামকৃষ্ণপুরের শামসুল হক মোল্লা। এরই মধ্যে পেশি শক্তি বলে ওই জমি থেকে ৪৮ শতক জবর দখলের চেষ্টায় নামে একই গ্রামের সংঘবদ্ধরা। তারা জমির একটি অংশ দখলও করে নেয়। ভুয়া কাগজপত্রে একটি অংশ রেকর্ড করিয়ে নিয়ে তা আবার অন্য পার্টির কাছে বিক্রিও করে দেয় অবৈধ দখলবাজ চক্রটি। এসব নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিশ বিচারের এক পর্যায়ে নানা হুমকি শুরু হয়। উপায় না পেয়ে যশোর সিনিয়র জজ আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী শামসুল হক মোল্লা।
আসামি করা হয় রামকৃষ্ণপুরের মৃত এমারত আলীর ছেলে ওয়াজেদ আলী, ওয়াজেদ আলীর মৃত্যু হওয়ায় এখন আসামি তার ছেলে নিজাম আলী, এজাহার আলী, একই গ্রামের ওয়াহেদ আলী মোল্লার ছেলে শরিফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, জিয়ারুল ইসলাম, বদিয়ার মোল্লা। এছাড়া ভুয়া কাগজে রেকর্ডীয় জমি কেনায় আরো অভিযুক্ত হয়েছেন যশোরের পতেঙ্গালী গ্রামের আজাহার হোসেনের ছেলে ফসিয়ার রহমান, মজিদ মন্ডলের ছেলে ইমান আলী মন্ডল, রামকৃষ্ণপুরের মৃত সালামের ছেলে মিলন হোসেন ও মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে রওশন আলী। মামলার রায় শামসুল হকের পক্ষে আসলেও উপরে উল্লেখিত সংঘবদ্ধরা জবরদখল অপরতৎপরতা চালিয়ে চলেছে। এমনকি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এসএ শাখার প্রতিবেদন শামসুল হকের পক্ষে দেয়া হলেও আসামি পক্ষ তা না মেনে জবর দখল তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
আদালতের রায় উপেক্ষা ও ডিসির প্রতিবেদন অমান্য করে জবর দখলে বিরোধীয় জমিতে ধান চাষ শুরু করে। এতে বাধা প্রদান করলে ক্ষিপ্ত হয় ওই চক্রটি। গত ১২ জানুয়ারি নিজাম হোসেন, রওশন, এজাহার, শরিফুল, স্বপ্না, সেলিনাসহ কয়েকজন শামসুল হকের পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালায়। তার স্ত্রী সখিনা বেগম, দুই ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর উপর চড়ার হয়ে মারপিট করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। থানা পুলিশ বিষয়টি খোঁজ খবর নিচ্ছে।
এদিকে, থানায় অভিযোগ করা ও মারপিট, জবরদখলের প্রতিবাদ করায় উল্লেখিতরা ফুঁসে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষে উত্তেজনা চলছে। স্থানীয়রা এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রাতদিন সংবাদ