যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাধন চন্দ্র স্বর্ণকারকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারক তরিকুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন।
সাধন চন্দ্র স্বর্ণকার খুবির পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের লেকচারার। সমন পেয়ে আদালতে জামিনের জন্য উপস্থিত হলে তাকে বিচারক কারাগারে প্রেরণ করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আবু হুরায়রা সোহেল জানান, সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের অলোক স্বর্ণকারের মেয়ে পূজা স্বর্ণকারের সঙ্গে ২০২০ সালের ৮ জুন একই এলাকার যুগল কৃষ্ণ স্বর্ণকারের ছেলে সাধন চন্দ্র কর্মকারের রেজিস্ট্রিকৃতভাবে বিয়ে হয়। এরপর একই বছরের ২৭ নভেম্বর ধর্মীয় নিয়ম-নীতি মেনে উভয়ের মধ্যে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সাধন চন্দ্রকে খরচ বাবদ দুই লাখ টাকা মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়। বিয়ের সময় তাকে ঘরের ফার্নিচার ও মোটরসাইকেল দেয়া হয়। কিন্তু কিছু দিন পরই শুরু হয় নানা টালবাহানা। পাঁচ লাখ টাকার জন্য পূজাকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন সাধন। এতে কাজ না হওয়ায় প্রায়ই তাকে মারধর করতে থাকেন। সর্বশেষ এবছরের ৭ জানুয়ারি তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পূজা খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে মামলা করেন। মামলাটি ওই আদালতের বিচারক আমলে নেন। আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই লেকচারের বিরুদ্ধে সমন জারি করে তার ঠিকানায় পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার জামিন নেয়ার জন্য শিক্ষক সাধন চন্দ্র স্বর্ণকার উপস্থিত হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অনলাইন ডেস্ক