মোঃ জাকির হোসেন, কেশবপুরঃ গত ৫ জানুয়ারী পঞ্চমধাপের কেশবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ভোট অনুষ্ঠিত হলেও কেশবপুর সদর ইউনিয়নের একটি ভোট কেন্দ্রে প্রশাসনকে বৃদ্বাঙ্গুলি দেখিয়ে ভোট কাটা সহ কারচুপির ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন নির্বাচন কমিশনার। যে কারনে অমিমাংশিত থাকে কেশবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচনের ফলাফল।
এ কেন্দ্রের পুণরায় ভোট গ্রহণের জন্য চলতি মাসের ৭ ফেব্রুয়ারী দিন ধার্য্য করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার। সে অনুযায়ী পুণরায় তফসিল ঘোষিত হয় ।এই ইউনিয়নটিতে বর্তমানে মুল প্রতিদ্বন্ধিতায় আছেন মাত্র ২ জন। তারা হলেন তিনবারের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা(মোটরসাইকেল) ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠণিক সম্পাদক দু বারের ইউপি মেম্বার গৌতম রায় (নৌকা)। এ ইউনিয়নটিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী থাকেন ৫ জন।
অন্যরা হলেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র জাহাঙ্গীর আলম (চশমা),আনিছুর রহমান(হাতপাখা)ও মোঃ আয়ুব আলী (আনারস)। মোট ৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচনী ফলাফলে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী গৌতম রায় এগিয়ে আছেন ৪৫৮ ভোটে। অপরদিকে স্থগিত থাকা নুতনমুলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটার সংখ্যা ২১১৯ । এ ভোটের উপর নির্ভর করবে চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বর ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারের ভাগ্য । ইউনিয়নের মোট ১০ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে।
এ ইউনিয়নের মোটরসাইকেল প্রতীক ও নৌকা প্রতিকের ভিতর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে। আওয়ামীলীগ চায় এ ইউনিয়নটি দখলে নিতে আর প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা ও তার অনুসারিরা চান চেয়ারম্যান পদটি আবারও তৃতীয় বারেও দখলে রাখতে। প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা বলেন, নির্বাচনে কোন প্রকার হুমকী ধামকি ও পুলিশি নির্যাতন না হলে তিনি বিজয়ী হবেন। অপর দিকে গৌতম রায়
জানান, বিজয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। তবে নির্বাচন বিশ্লেষকদের অভিমত যিনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন না কেন ভোটের ব্যবধান থাকবে এক থেকে দেড়শ ভোটের।