আল নাহিয়ান খান ও ইয়াজ আল রিয়াদ একই শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ক্যাম্পাসে তাঁরা ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক’ অভিযোগ সহসভাপতিরইয়াজ আল রিয়াদ বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছরের মধ্যে ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও সর্বশেষ সম্মেলনের চার বছর পেরিয়ে গেছে। এ ছাড়া ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠনে অসংগতি ও অনিয়ম হচ্ছে। এসব নিয়ে আমি সামনে থেকেই কথা বলি। তাঁরা (ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্য) মনে করেন, এগুলো তাঁদের ক্ষমতায় থাকাকে বাধাগ্রস্ত করবে। সে জন্য অতিসম্প্রতি আল নাহিয়ানের কিছু অনুসারী আমার নামে অপপ্রচার শুরু করেন যে আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান নই। সেটির জবাব দিতে গিয়েই আমি আল নাহিয়ানের উদাহরণ টেনেছি।’ইয়াজ আল রিয়াদ আরও বলেন, ‘শুধু আমি নই, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই আল নাহিয়ান খানের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলোর ব্যাপারে জানেন। যেহেতু কেউ প্রশ্ন করেননি, তাই আমি এগুলো বলারও প্রয়োজন বোধ করিনি বা বলতেও চাইনি। আমি ছাত্রলীগের বেশ কয়েকটি পদে ছিলাম। এই সময়ে আমাকে কেউ জিজ্ঞাসা করেননি যে আমার পরিবারের রাজনৈতিক ইতিহাস কী? যেহেতু কেউ জিজ্ঞেস করেননি, সেহেতু বলারও দরকার হয়নি। যখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হলো, তখন সেগুলোর জবাব দিতে গিয়ে আমাকে এসব কথা বলতে হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক