কেশবপুরে আওয়ামী লীগের আরও তিন নেতা বহিষ্কার

কেশবপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় দল থেকে বহিষ্কারের হিড়িক পড়েছে। সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগের আরও তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলার ১৪ জন আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দল থেকে বহিষ্কার হলেন।

এছাড়া, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণা না করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নসহ সকল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

সোমবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এস এম মহব্বত হোসেন, সুফলাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাদাত হোসেন গাজী এবং কাজী আজহারুল ইসলামকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণা না করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বিলুপ্ত করা হয়েছে ওই ইউনিয়নসহ সকল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি।

এর আগে গত শনিবার মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক মাসুদুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া ইউপি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে দশজন নেতাকে গত ২০ ডিসেম্বর বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতদের মধ্যে চারজন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান রয়েছেন।

বহিষ্কৃতরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমান, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য চেয়ারম্যান প্রার্থী আমজাদ হোসেন, সুফলাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মনজুর রহমান, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য চেয়ারম্যান প্রার্থী উত্তম ঘোষ, ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খান সুজন ও গৌরিঘোনা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদুর রহমান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস রুহল আমীনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা মোতাবেক তাদেরকে সংগঠনের সকল পদ থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়। আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

রাতদিন সংবাদ