Saturday, May 18, 2024

ঝিকরগাছার কাজল রেখার লিঙ্গ নির্ধারণ নিয়ে বিভ্রান্তি,ফের মেডিকেল বোর্ড গঠনের আবেদন

- Advertisement -
যশোরের ঝিকরগাছার কাজল রেখার লিঙ্গ নির্ধারণে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আদালতের নির্দেশ ছিল, মেডিকেল বোর্ড গঠন করে কাজল রেখার লিঙ্গ নির্ধারণ করতে হবে। তবে, অভিযোগ করা হচ্ছে, মেডিকেল বোর্ডে কাজল রেখার পরিবর্তে অন্য নারীকে হাজির করে লিঙ্গ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় পুনরায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করে কাজল রেখার লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাধায়কের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত আজির বক্সের ছেলে হাফিজুর রহমানের সাথে বিয়ে হয় ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামের ইসলাম হোসেনের মেয়ে কাজল রেখার।পরে স্বামী হাফিজুর দাবি করেন, কাজল রেখা তৃতীয় লিঙ্গের। অন্যদিকে, কাজল রেখা নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ নারী বলে দাবি করেন। একপর্যায়ে তিনি যশোরের আদালতে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের অভিযোগে হাফিজুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত সমন ইস্যু করেন। অন্যদিকে, ঝিনাইদহ আদালতে কাজল রেখার বিরুদ্ধে মামলা করেন হাফিজুর। কাজল রেখার দায়ের করা মামলায় চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি দু’পক্ষ আদালতে হাজির হয়। অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান হাফিজুর। সবশেষ, ২২ সেপ্টেম্বর আদালতে হাফিজুর জানান, কাজল রেখা তৃতীয় লিঙ্গের। তার সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক হয়নি।  জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালত এক পর্যায় হাফিজুরের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। পরে কাজল রেখা জেলা জজ আদালতে রিভিশন আপিল করেন। জেলা জজ আদালত গত ১৩ ডিসেম্বর যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে কাজল রেখার লিঙ্গ নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ২৬ ডিসেম্বর যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ জন চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ওইদিনই পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু হাফিজুর দাবি করছেন, কাজল রেখা তার পরিবর্তে বোন অথবা অন্য কোনো নারীকে মেডিকেল বোর্ডের সামনে হাজির করে পরীক্ষা করিয়েছেন। এজন্য তিনি প্রথমে কাজল রেখাকে শনাক্ত করে ফের পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর গত ২৭ ডিসেম্বর আবেদন করেছেন।এ বিষয়ে হাফিজুরের আইনজীবী কাজী ফরিদুল ইসলাম বলেন, আদালত কাজল রেখার লিঙ্গ শনাক্তে নির্দেশ দিয়েছেন। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পক্ষথেকে তা করা হয়েছে। কিন্তু কাজল রেখাকে শনাক্ত করা হয়নি বলে দাবি করেন কাজী ফরিদুল ইসলাম।এ বিষয়ে কাজলের আইনজীবী সরদার সেলিম রেজা বলেন, এসব অভিযোগ আসামির মনগড়া। আদালত যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবেই কাজ হয়েছে। কাজল রেখা ডাক্তারদের কাছে হাজির হয়েছিলেন।যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আক্তারুজ্জামান বলেন, হাসপাতালের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজল রেখাকে নোটিশের মাধ্যমে ডাকা হয়েছে। তিনি এসেছিলেন। তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। কাজলের পরিবর্তে অন্য নারী এসেছিলেন হাফিজুরের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো কাগজ তিনি হাতে পাননি।
রাতদিন সংবাদ

 

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত