যশোরের জামিয়া আশরাফিয়া কওমী মহিলা মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ভিকটিমের মা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আসামিরা হলেন, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার চরকামালপুর গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে জহুরুল ইসলাম ও মৃত সেকেন্দারের ছেলে ফরিদ মিয়া। আসামিরা বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভুটিয়ারাগাতি গ্রামে বসবাস করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক নিলুফার শিরীন অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী ঝিনাইদহ জেলায় চাকরি করতেন। এ কারণে তার ১৪ বছরের মেয়ে নিয়ে ভুটিয়ারগাতি গ্রামে ভাড়া থাকতেন এবং সেখানে একটি বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো। ওই এলাকার জহুরুল ইসলাম ও ফরিদ মিয়া তার মেয়েকে নানাভাবে উক্ত্যক্ত করতো।
এ ঘটনা বুঝতে পেরে মেয়েকে বিরামপুরে পাঠিয়ে দেন তিনি। আসামিরা খোঁজ নিয়ে যশোরে গোপনে অবস্থান করে গত ১৮ জুলাই মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করলে পুলিশ তার মেয়েকে উদ্ধার করে।
গত ৮ অক্টোবর ভিকটিম সকাল সাড়ে ১০টায় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিউমার্কেট খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে আসামিরা বাদীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে আবারও মাইক্রোবাসে করে তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মেয়েকে ভারতে পাচার ও অপকর্মে বাধ্য করা হতে পারে বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন বাদী।
রাতদিন সংবাদ