Wednesday, May 15, 2024

পুনঃনির্বাচনের দাবিতে নাভারণের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলণ

- Advertisement -

শার্শার নাভারণ ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক অভিযোগ করেছেন, ভোটের দিন বেলা ১২টার পরই ইউনিয়নের সবকয়টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট কারচুপি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনকে মারধর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি। ভোট বাতিল করে এ ইউনিয়নে পুনরায় ভোট নেয়ার জন্যে জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানিয়েছেন জিয়াউল হক। লিখিত বক্তব্যে চশমা প্রতিকের এ প্রার্থী বলেন, প্রথম এক-দেড় ঘণ্টা ভোট হওয়ার পর দেওলী, নাভারণ, আকিজ কলেজিয়েট স্কুল, ঢাকা পাড়া, রঘুনাথপুর, কুন্দিপুর, হাড়িয়া, রামচন্দ্রপুর ও পাঁচপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে তার পোলিং এজেন্টদের মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এরপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যালট নিয়ে নিজেরাই সিল মেরেছে। ভোটাররা শুধুমাত্র মেম্বার পদের ভোট দিতে পেরেছে। বেলা ১২টার পর ১৩টি কেন্দ্রে ভোটারদের ভয় দেখিয়ে কেন্দ্র দখল করে নেয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা। বেলা সাড়ে ১১টায় কুন্দিপুর কেন্ত্রে জিয়াউল হক উপস্থিত হলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজেই তাকে গুলি করার হুমকি দেয়। একইসাথে তার সাত-আটজন কর্মীসমর্থকদের আহত করা হয়েছে বলে দাবি করেন এ প্রার্থী। এ সময় উপস্থিত ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থী ফুটবল মার্কার শেখ আব্দুল মাজেদ দাবি করেন, সকালে তার সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে গেলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোরগ মার্কার মজিবর রহমানের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা হয়। এ সময় তিনিসহ চার-পাঁচজন আহত হন। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন আব্দুল মাজেদ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভোট বর্জন করা ১,২ ও ৩ নং ওয়াডের্র সংরক্ষিত মেম্বার প্রার্থী হেনা খাতুন, আহত পোলিং এজেন্ট বাদেনাভারণ গ্রামের মনিরুল ইসলাম, শামীম হোসেন, মনির হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন, শাহাবুদ্দীন, খাদিজা বেগম প্রমুখ।

রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত