নানা আয়োজনে যশোরে যুবলীগের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুলেল শ্রদ্ধা, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল সাড়ে চারটায় বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নানা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু। দড়াটানা ভৈরব চত্বরে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি বলেন, দেশের অগ্রযাত্রা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদ্ধপরিকর। তার সুদক্ষ নেতৃত্বের গুণে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এ কারণে স্বাধানীতা বিরোধী চক্র সবসময় বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। দেশের উন্নয়নের পথে বাধা কিংবা ক্ষমতাকেন্দ্রিক ষড়যন্ত্র রুখে দিতে যশোরে যুবলীগ একতাবদ্ধ হয়ে নিজেদের উজাড় করে দিবে বলে জানান তিনি।
এরপর দড়াটানা থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে। ঢাক-ঢোলের শব্দে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা শহর। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।
শোভাযাত্রা উপলক্ষে বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে শ’ শ’ নেতাকর্মী দড়াটানায় সমবেত হন। এরপর হাজারো নেতাকর্মী হাতে পতাকা, মাথায় ব্যানার ও কয়েকটি পিকআপে সুসজ্জিত হয়ে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন। আধাকিলোমিটার দীর্ঘ এ র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু,জেলা যুবলীগের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, প্রচার সম্পাদক ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন,সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অশোক কুমার বোস, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল, শাহাজান কবীর শিপলু, অরিছুর আলম মাসুদ, রেজাউল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহীসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী। র্যালিতে অধিক জনসমাগমের কারণে শহরের সবকয়টি রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা বন্ধ হয়ে থাকে যান চলাচল।
এদিকে, সকাল ১০টায় জেলা যুবলীগের ব্যানারে দড়াটানা বকুলতলার বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতৃবৃন্দ। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুবলীগের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও সব ধরনের বিশৃঙ্খলা রুখে দিতে যুবলীগ ঐক্যবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন তিনি। জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মুনীর হোসেন টগরের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তৃতা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক শেখ আলাউদ্দিন মুকুল, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাযহারুল ইসলাম মাযহার ও সদস্য জাহিদুর রহমান লাবু। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দীন মিঠু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজিবুল আলম, জেলা যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মারুফ হোসেন বিপু, সদস্য শফিকুল আলম পারভেজ, কেরামত আলী,যুবলীগ নেতা বিপ্লব রায় গোপীনাথ, শফিকুল ইসলাম শফি,সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান শহিদ, শহর যুবলীগের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মিলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেবুব রহমান ম্যানসেল, সুলায়মান খান রাসেল প্রমুখ।
আলোচনার পর একটি বর্ণাঢ্য র্যালি চৌরাস্তা ঘুরে বড় বাজার হয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে, মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এম রবিউল ইসলাম রাজুর উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। মণিহার থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি দড়াটানা ভৈরব চত্বরে এসে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফতেপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক বাহারুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার খোকন, আওয়ামী নির্মাণ শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, যুবলীগ নেতা টুটুল মোল্লা, জ্ঞানের মেলা মানব কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক লাইন্স বাবলু ইসলাম প্রমুখ।
বিশেষ প্রতিনিধি