যশোর সদর উপজেলার মালী মধ্যপাড়া গ্রামে গৃহবধু কাজল রেখাকে (৪২) মারপিট করে চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। রোববার ৭ নভেম্বর ওই গ্রামের নওয়াব আলীর স্ত্রী গৃহবধু কাজল রেখা বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে মালী মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদের বিশ্বাসের ছেলে রাজিবুল হক শিমুল (৩০) মৃত হায়দার আলীর ছেলে রিপন হোসেন (৩০) মৃত আজগর আলীর ছেলে আকবর আলী (৩০) পেচো আলীর ছেলে আকতার আলী (৩২) আজগর আলীর মেয়ে বিউটি খাতুন (২৮) আকতার আলীর স্ত্রী বিলকিস বেগম (২৫) রিপন হোসেনের স্ত্রী জ্যোস্না বেগমসহ (২২) অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন। এঘটনায় পুলিশ এজাহার ভুক্ত ৪ আসামিকে আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছে রিপন হোসেন, বিউটি খাতুন, বিলকিস বেগম, ও জ্যোস্না বেগম। আটককৃতদের আদালতে চালান দেয়া হয়।
মামলায় কাজল রেখা উল্লেখ করেন, সাবেক স্বামী মারা যাওয়ার পর নওয়াব আলীকে বিয়ে করে মালী গ্রামে বসবাস করেন। ৬ নভেম্বর শনিবার সকালে তিনি স্বামীসহ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় আাসামিরাসহ অজ্ঞাত নামা আসামিরা লোহার রড, বাসের লাঠি, ধারালো কাইচি নিয়ে বেআইন ভাবে তার বাড়িতে প্রবেশ করে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামি রাজিবুল ও রিপন হোসেন কাজল রেখাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাচ করে ও ভিটা ছেড়ে চলে যেতে বলে।
কাজল রেখা ও তার স্বামী নওয়াব আলী এর প্রতিবাদ করলে আসামি আজগর ও আকতার আলীর হুকুমে আসামি রাজিবুল ও রিপন হোসেন নওয়াব আলীকে মারপিট করতে গেলে কাজল রেখা ঘর থেকে বের হয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করে। কাজল ঠেকাতে গেলে আসামিরা তাকে বেধড় মারপিট করে গুরুত্বর জথম করে। আসামিরা অপমান অপদস্ত করার জন্য আসামি বিউটি খাতুন, বিলকিস বেগম ও জ্যোস্না বেগমের সহায়তায় আসামি রিপন হোসেন ও আজগর আলী ধারালো কাইচি দিয়ে কাজলের মাথার চুল কেটে দেয়।
আসামি রাজিবুল হক ও রিপন হোসেন পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে কাজলের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। আসামিদের মারপিট সহ্য করতে না পেরে কাজল বাড়ির উঠানে পড়ে থাকে। কাজল ও তার স্বামী নওয়াব আলীর চিৎকারে আসামিরা গালিগালাচসহ প্রান নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। কাজলের আত্বীয় স্বজন এসে তাকে ও তার স্বামীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটু হলে কাজল কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
এদিকে গ্রাম বাসির অভিযোগ, সাবেক স্বামী মারা যাওয়ার পর কাজল রেখা চাচা শশুর নওয়াব আলীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। তারা গোপনে এক মাস আগে বিয়ে করে। চাচা শশুরকে বিয়ে করার ঘটনা জানাজানি হলে কাজল রেখা ও নওয়াব আলীর পরিবারের মধ্যে গোলযোগ হয়। এতে উভয় পরিবারের ৩ জন আহত হয়। এ ঘটনার জের ধরে একপক্ষ কাজল রেখাকে মারপিট করে মাথার চুল কেটে দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইবনে খালিদ হোসেন জানান, মালী গ্রামে কাজল রেখাকে মারপিট করে চুল কেটে দেয়ার অভিযোগে শনিবার রাতে ৪ আসামিকে আটক করা হয়। আটককৃতদের রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
রাতদিন সংবাদ