শালিশ বিচার পক্ষে না যাওয়ায় যশোরের বাহাদুরপুরের এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে প্রতিবেশি একটি পরিবারের সদস্যরা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ও নাতিকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে।
এছাড়া ভিটেবাড়ি ছাড়াকরার হুমকি দিয়েছে। ঠেকাতে আসলে প্রতিবেশি আরো কয়েকজনকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উপশহর ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই সাইফুল মালেককে।
থানা ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বাহাদুরপুরের মৃত মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী মোল্লার প্রতিবন্ধী মেয়ে সালেহা খাতুন, সাজেদা বেগম ও ছেলে মনিরুল ইসলামের বৈধ ভোগদখলীয় বাড়ি জমি জবর দখলের চেষ্টা করেন একই পাড়ার সিরাজুল ইসলাম ও তার ছেলেরা।
এ নিয়ে এলাকায় শালিশ বিচার করে প্রতিবন্ধী সালেহা খাতুন, সাজেদা বেগম ও মনিরুলের সম্পত্তি মাপজোক করে স্থানীয়রা বুঝিয়ে দেন। ওই শালিশ বিচার ও মাপজোক মেনে নিলেও দুদিন পর ১ নভেম্বর সকালে সিরাজুল ইসলাম, তার ছেলে আরিফ হোসেন, রায়হান হোসেন ও সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী বিলকিস বেগম হামলা চালান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর।
কেন শালিশ বিচার ডাকা হল, কেন জমি মাপামাপি করা হল এসব কথা বলে ভিটেবাড়ি ছাড়া করার হুংকার দিয়ে মারপিট করে সাজেদা বেগম ও তার ছেলে শাহিনকে। লোহার রড দিয়ে আঘাত করে পরে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
এ ঘটনায় ঠেকাতে আসলে সাজেদা বেগমের ভাই কবি মনিরুল ইসলাম ও অপর প্রতিবেশি মুস্তফাকে হত্যার হুমকি দেয় সিরাজুল ইসলাম গং। থানা পুলিশ করলে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করবে বলে শাসিয়ে যায়।
এর কয়েকদিন আগে ওই সিরাজুল চক্র মুক্তিযোদ্ধার প্রতিবন্ধী মেয়ে সালেহা খাতুনকে বেদম মারপিট করে বাড়ির উঠোনে ফেলে রাখে। এসব ঘটনায় ১ নভেম্বর বিকেলে থানায় অভিযোগ করেন সাজেদা বেগম। তিনি জানিয়েছেন জবরদস্তি করছে সিরাজুল ইসলাম। প্রাণের শংকা নিয়ে তারা তিন ভাই বোন সময় কাটাচ্ছেন। এ ব্যাপারে তিনি পুলিশ সুপারের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
রাতদিন সংবাদ