Sunday, May 19, 2024

বিসিএস নারী কর্মকর্তাকে ধর্ষণ মামলায় অভয়নগরের সেই মঈনুলের বিচার শুরু

যশোরের অভয়নগরের মঈনুলের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। ধর্ষণ ও ঔরসজাত সন্তান জন্মের পর অস্বীকারের অভিযোগে যশোর আদালতে বিসিএস এক নারী কর্মকর্তার দায়ের করা মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে। নিজের গাঁ বাঁচাতে ওই নারীকে স্ত্রী দাবি করে আদালতে কাবিন নামা দাখিল করেছিলেন মঈনুল। কিন্তু আদালত মুল ভলিয়ম বই তলব করে প্রমাণ পান সেটা জাল। শেষমেষ সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক নিলুফার শিরীন বাদী ও আসামীর উপস্থিতিতে অভিযোগের শুনানী শেষে এ মামলার চার্জগঠন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি সেতারা খাতুন। এরআগে আসামির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ পড়ে শোনান রাষ্ট্র পক্ষের পিপি সেতারা খাতুন। এ সময় বাদী পক্ষে আইনজীবী আর.এম.মঈনুল হক খান ময়না ও তার সহকারী মিলন আহম্মেদ চার্জগঠনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট সাফিউল আলম সানি ও সাইফুল ইসলাম তুহিন আসামিকে নির্দোষ দাবি করেন। আদালত উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপন্থাপন শেষে মঈনুলের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। আসামি মঈনুল ইসলাম অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া প্রফেসরপাড়ার আলতাফ হোসেনের ছেলে। আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা করেন যশোরের এক নারী বিসিএস কমকর্তা। তৎকালীন বিচারক টিএম মুসার নির্দেশে মামলায় বাদীর নানা অভিযোগ তদন্তে মাঠে নামে যশোর পিবিআই।  গত ৩ জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ২০১১ সালে বিয়ে হওয়া মামলার বাদীর ঢাকায় যাতায়াতের সুবাদে ২০১৩ সালে মইনুলের সাথে পরিচয় হয়। মইনুল নিজেকে পরিচয় দেন ডিজিএফআই কর্মকর্তা হিসেবে। এক পর্যায়ে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠলে নারী কর্মকর্তাকে ঢাকার বাড়িতে নিয়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে মইনুল শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর জেরে ওই নারীর গর্ভে আসে সন্তান। পরে তার সাথে স্বামীর বিচ্ছেদও হয়। মামলা চলাকালীন আদালতের কাছে ডিএনএ টেস্টের অনুমতি চায় পিবিআই। ফলে ওই নারী কর্মকর্তা, তার তালাকপ্রাপ্ত স্বামী, উক্ত সন্তান ও মইনুলের ডিএনএ টেস্ট করার পর প্রমাণ মেলে সন্তানটি মইনুলের। পিবিআই প্রতিবেদনে এসব উল্লেখ করেন এসআই মিজানুর। এরপর মঈনুল নিজেকে ওই নারীর স্বামী দাবি করে আদালতে একটি কাবিন নামা দাখিল করেন। কিন্তু আদালত প্রমান পায় ওই কাবিন নামা জাল। সবশেষে সোমবার তার বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করে আদালত।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আর.এম.মঈনুল হক খান ময়না আরও জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার ধার্য তারিখে তার মক্কেল আদালত থেকে যাওয়ার পথে মঈনুল মামলা তুলে নিতে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়। শুধু তাই নয়, শিশু পুত্রকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়। ওইদিনই কোতোয়ালি থানায় জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি সোমবার আদালতকে অবগত করা হয়েছে। একই সাথে মঈনুলের জামিন বাতিলের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।  আদালত আগামি ধার্য তারিখে শুনানির দিন ধার্য করেন।
রাতদিন সংবাদ
- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত