Wednesday, May 15, 2024

নরেন্দ্র মোদীর জন্ম দিনে পেট্রাপোলে প্যাসেঞ্জোর টার্মিনাল ও কার্গো গেট উদ্বোধন

- Advertisement -

মোঃ মাসুদুর রহমান শেখ বেনাপোলঃ ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত ও বাণিজ্য সহজিকরণে একটি আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও একটি কার্গো গেটের উদ্বোধন করা হয়েছে। ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্ম দিনে যাত্রী সেবা আর বাণিজ্য সম্প্রসারনে এমন দুটি সেবামুলক কার্যক্রমনে উদ্বোধন করা হয়। ব্যবসায়ী ও পার্সপোর্টধারী যাত্রীরা বলছেন, যাত্রী টার্মিনালে যাত্রীদের যেমন ভোগান্তী কমবে তেমনি বাড়বে নিরাপত্তা। আর কার্গো টার্মিনাল বাণিজ্য প্রসারে বড় ভূমিকা রাখবে। শুক্রবার দুপুরে ভারতের পেট্রাপোল অংশে এ টার্মিনাল দুটি যৌথ ভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যনন্দ রায়। জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে প্রতিবছর চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষা গ্রহণ আর ভ্রমণে প্রায় ১৮ লাখ পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াত সহজ করতে ভারত সরকার যাত্রী টার্মিনাল এবং কার্গো টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। ভারত প্রবেশে যাত্রী চাপ বাড়লে এর আগে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে রোদ বৃষ্টিতে ভিজতে হতো। এই টার্মিনাল তৈরী হওয়াতে সেই দুর্ভোগ থেকে যাত্রীদের মুক্তি মিলবে। একই ছাদের নিচে থাকছে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সেবার কার্যক্রম। ১৩০৫ স্কয়ার ফিট আয়তনের যাত্রী টার্মিনালটিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা থাকছে ৫৫০জন। ভবনটিতে ৩২টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার, ৪টি কাস্টমস কাউন্টারও ৮টি সিকিউরিটি কাউন্টার রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের নৌ ও পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরী বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুর্ত্বের ইতিহাস দির্ঘদিনের। ৭১ এর মহান মুক্তি যুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে ভারত বাংলাদেশ কে সহয়তা করেছিল। করোনা কালিন সময়েও তারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। বাণিজ্য গতিশীল আর পাসপোর্ট যাত্রীর দূর্ভোগ কমাতে ভারত সরকার উদ্যেগ নিয়ে যে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও কার্গো গেট তৈরী করেছে তাতে দুই দেশ উপকৃত হবে। এমন উদ্্েযাগ দু’ দেশের সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যনন্দ রায় বলেন, ভারতের প্রতিবেশি আর সব চাইতে কাছের বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশ। চিকিৎসা,ব্যবসা,শিক্ষা ও ভ্রমনে প্রদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। তারা যেন নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্রে যাতায়াত করতে পারে বিষয়টি মাথায় রেখে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল তৈরী করা হয়েছে। রেল পথে বাণিজ্য প্রসারের দিক বিবেচনা করে কার্গো টার্মিনাল তৈরী করা হয়েছে। আগামীতে দু দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ এই সর্ম্পক্য আরো বাড়বে জানান তিনি। এসময় আমন্ত্রিত অতিথী হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ স্থল বন্দরের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোঃ আজিজুর রহমান, বেনাপোল বন্দর পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, নাভারণ সার্কেলের এএসপি মোঃ জুয়েল ইমরান ও বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব প্রমুখ।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত