শফিয়ার রহমানমণিরামপুর, যশোরঃ শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল হলেও তা বিক্রি করে চলে অনেকের জীবন-যাপন। মণিরামপুর উপজেলার পূর্বা লে বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ খাল, বিল, পুকুর, নালাসহ মাঠে মাঠে ফুটা সাদা আবরণে আদি”ছ শাপলা ফুল আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়। মাঠজুড়ে হাত ছানি দেয় প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য। শরতের এ সৌন্দর্য্য প্রকৃতি ফুটে উঠে কবির ভাষায়। তেমনি ঢাকুরিয়া, কাটাখালী, হরিদাসকাটি, হাজিরহাট, শ্রীপুর, সমসকাটিসহ অনেক গ্রামের শিশু-কিশোদের পাশাপাশি বয়বৃদ্ধ গরিব লোকজন শাপলা ফুল তুলে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারী-পুরুষ মাঠ থেকে শাপলা তুলে বাড়ি এনে সন্ধ্যা পর্যন্ত আঁটি বাঁধার কাজ করে। তারপর পরেরদিন সকালে শাপলা ফুল বাইসাইকল ও অটোভ্যান যোগে মণিরামপুর, যশোরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামাঞ্চলে ৫-১০ টাকা দরে বিক্রি করে। দীর্ঘদিন যাবৎ ভবদাহায় পলি জমার কারণে পূর্বা লের অধিকাংশ বিল জলবদ্ধ থাকায় ফসল না হওয়ায় মাঠে মাঠে শাপলা ফুলে ভরে গেছে। মাঠে ফসল না হওয়ার কারণে অধিকাংশ মানুষ বড় কষ্টের মধ্যে জীবন-যাপন করে আসছে। সরেজমিন বৃহস্পতিবার ঢাকুরিয়া গ্রামের মৃত পাঁচু মন্ডলের ছেলে পরিতোষ মন্ডল জানায়, বর্তমান এলাকায় কোন কাজ কাম না থাকায় কিছু একটা কাজ তো করতে হবে। আমার সংসারে পাঁচ জন সসদ্য প্রতিদিন চাল, ডাল, তেলসহ সংসার চালাতে তো অনেক কিছু লাগে পেট তো কারো জন্য বসে থাকে না, পেটের জ্বালা বড় জ্বালা আবার রয়েছে এনজিওর কিস্তির যন্ত্রনা। তাই প্রতিদিন মাঠ থেকে শাপলা তুলে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে কোন রকম বেঁচে আছি। ঢাকুরিয়া এলাকার কিশোর আরিফ জানায়, প্রতিদিন ১৫০-২০০ টাকা শাপলা বিক্রি করে বৃদ্ধ বাবার হাতে দেয়। এলাকায় এরকম পরিবার আরো আছে বলে জানাযায়।