Wednesday, May 15, 2024

করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ যাত্রাশিল্প মালিকদের অর্থ বরাদ্দ অনিয়মে মণিরামপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

- Advertisement -

মণিরামপুর প্রতিনিধিঃকরোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্থ যাত্রা মালিকদের অনুকুলে সরকারি প্রনোদনার অর্থ বরাদ্দ ও বিতরণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ঢাকার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় কর্তৃপক্ষে দৃষ্টি আর্কষণ করে বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় মণিরামপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প মালিক সমিতি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। যাত্রাপালা নির্দেশক (পরিচালক) ও নিবন্ধনপ্রাপ্ত দল মালিক এই দুই ক্যাটাগরিতে অর্থ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্টপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ক্ষতিগ্রস্থ যাত্রাশিল্প মালিকদের সরকারি অনুদান ও অর্থ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জাতীয় যাত্রানীতিমালা কমিটির সদস্য, যাত্রাদল মালিককে পালা নির্দেশক দেখিয়ে যারা একদিনও যাত্রা অভিনয় করেননি, এমনকি পূর্নাঙ্গ যাত্রাদল নেই, বছরে ২টির বেশি যাত্রাপালা ম স্থ করেনি, তাদেরকে যাত্রাপালা নির্দেশক দেখিয়ে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে এ সংবাদ সম্মেলনে। মঙ্গলবার যশোরের মণিরামপুর প্রেসক্লাবের হল রুমে এসব অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ জানান, অবিলম্বে বরাদ্দ পুনঃবিবেচনায় ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া ১০ জন যাত্রাপালা নির্দেশক এবং ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া নিবন্ধনপ্রাপ্ত ৭৯ দল মালিকদের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে উভয় গ্র“পকে যাত্রাপালা ম ায়ন করতে হবে। কিন্তু যাত্রা ম ায়ন করতে মহড়া, ডেকোরেশনসহ শিল্পী কুশলীদের বেতনসহ অন্যান্য খাতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হবে। অথচ যাত্রাদল না করেও যাদেরকে যাত্রাপালা নির্দেশক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের মধ্যে কেবল এসএম শফি ছাড়া সবাই দল মালিক। আবার এদের মধ্যে এমন পালা নির্দেশক নির্বাচন করা হয়েছে যারা কখনই যাত্রা অভিনয় কিংবা পালা পরিচালনা করেন নাই। পালা নির্দেশক হিসেবে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া বদরুল আলম দুলাল কখনই মে অভিনয় করেননি। পাশাপাশি বাকি যে ৯ টি যাত্রাদলকে পালা ম ায়নের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তারা বছরে ২ টির বেশি পালা করেন নাই। ২ লাখ বরাদ্দ পাওয়া যাত্রাপালা নির্দেশকের মধ্যে জ্যোৎ¯œা বিশ্বাস, মিলন কান্তি দে ও তাপস সরকার এই তিন জনই জাতীয় যাত্রানীতি মালা কমিটির সদস্য। এছাড়া এদের মধ্যে ৮টি দল কখনই অর্থলগ্নি করে পূর্নাঙ্গ যাত্রাদল গঠন করে যাত্রা অনুষ্ঠান করেননি। অরো বলেন যাত্রা শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রায় ৭ লক্ষ লোক জড়িত। এছাড়া ১টি যাত্রাদলের সাথে ৫০ থেকে ৫৫ জন লোক থাকেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যাত্রা মালিক সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন নয়ন, সাধারন সম্পাদক স্বপন পান্ডে, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন হানিফ, কোষাধ্যক্ষ জলিল হোসেন বাবু, সাংস্কৃতি সম্পাদক সৌমেন রায়, যাত্রাশিল্প মালিক দুলাল সাহা, কুতুবুল আলম, মোঃ আশরাফ সিদ্দিকী, মাখনলাল মন্ডল, খোকন সাহা, অমর কান্তি রায়, হাবিবুর রহমান, পালা নির্দেশক তপন সরকার, সমিতির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। নাটোর, মাগুরা, খুলনা, কুষ্টিায়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সমিতির নেতৃবৃন্দ মণিরামপুর প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন।

 

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত