Monday, May 13, 2024

মামলা করার পর বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে কেশবপুরের মেয়র রফিক

- Advertisement -

যশোরের কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগীর নামে চাঁদাবাজির মামলা করে বিপাকে পড়েছেন বাদী। মামলার স্বাক্ষীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আদালতে মামলা করার পর বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও দখল করে নিয়েছে আসামিরা। সোমবার দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কেশবপুরের ব্রক্ষ্মকাটি গ্রামের বাসিন্দা ও মিশাল ক্যাবল নেটওয়ার্ক এন্ড এন্টারপ্রাইজের মালিক খন্দকার মফিদুল ইসলাম।
গত ১৭ আগষ্ট যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেয়র রফিকুল ইসলামসহ তিন জনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। মামলাটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খন্দকার মফিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে উপজেলার ব্রক্ষ্মকাটি, বালিয়াডাঙ্গা, ও রামচন্দ্রপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে সুনামের সাথে ডিস (ক্যাবল) ব্যবসা করে আসছেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম তার দুই সহযোগী মফিজুর রহমান ও আলমগীর সিদ্দিক টিটুকে পাঠিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। মাসে মাসে চাঁদার টাকা না দিলে ভয়ভীতি দেখাতো। শান্তিতে ব্যবসা করার লক্ষ্যে তিনি মফিজুর ও আলমগীরকে এক লাখ টাকা চাঁদা দেন। কিছুদিন পর আলমগীর এক লাখ টাকা নিয়ে মেয়রের সাথে তাকে দেখা করতে বলেন। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত ১৫ জুন মফিজুলকে পুরাতন বাসস্টান্ডে একা পেয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নেন। ৩০ জুলাই আসামিরা লোকজন নিয়ে তার ডিস ব্যবসার অফিসে গিয়ে তাকে মারপিট করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দিলে খুন জখম করবে বলে হুমকি দেন। এরমধ্যে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা চলে যান। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। এর পর যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা কররে আমার বাড়িতে মেয়রের সন্ত্রাসীবাহিনী অব্যহত জীবননাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে আমার ডিশ ব্যবসাটি দখল করে নিয়ে গ্রাহকদের লাইন ভাড়া আদায় করার জন্য তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। মেয়রের সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে আমার পরিবার এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এখন নিজ পরিবারের নিরাপত্তা ও ব্যবসা ফিরিয়ে দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী খন্দকার মফিদুল ইসলাম।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মফিদুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই আজিজ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। কয়েক মাস আগে মেয়র রফিকুল ইসলামের মদপানে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়। যদিও আমার ভাই এলাকায় থাকে না। এজন্য ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে অত্যাচার করছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়র রফিকুল ইসলামের বলেন, কেশবপুরের হাতুড়ি বাহিনীর প্রধান আজিজের ভাই মফিদুল। এদের সাথে আমার কখনো বিরোধ ছিল না। মূলত মফিদুল তার ভাই আজিজকে দিয়ে হাতুড়ি বাহিনী পরিচালনা করত। শাহীন চাকলাদার এমপি হওয়ার পর হাতুড়ি বাহিনীর সদস্যরা কেশবপুর আসতে পারে না। এজন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করছে। মামলার স্বাক্ষী নিজেই আমার কাছে এসে বলেছে, অভিযোগের ব্যাপারে সে কিছুই জানে না।

রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত