Sunday, May 19, 2024

বরিশালে সংঘর্ষের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি আওয়ামী লীগের

- Advertisement -

বরিশালে সংঘর্ষের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। বিকেলে সিটি মেয়রের কালীবাড়ি মোড়ের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে যোগ দেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বক্তারা দাবি করেন, শান্ত বরিশালকে অশান্ত করতে অপতৎরতা চলছে।

ইউএনও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর পেছনে অন্য কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে উল্লেখ করে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা, পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ এবং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। আজ (১৯ আগস্ট) বিকেলে নগরীর কালীবাড়ি রোডে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবন সেরনিয়াবাত ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু।

লিটু বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ নগরীকে হঠাৎ করে অশান্ত করে তোলা হয়েছে। তাছাড়া আগস্ট মাস আসলেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে এমন ষড়যন্ত্র হয়। আমরা মনে করি বুধবারের ঘটনাটি সেই ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। কেননা ওই রাতে বরিশাল সিটি মেয়রের ওপরেও গুলি চালানো হয়েছে। সেখানে তার জীবনের শঙ্কা ছিল। কর্মীরা তাকে রক্ষা করেছে। এই ঘটনায় আমাদের অন্তত ৬০ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অর্ধশত।’

লিটু আরো বলেন, ‘আহত নেতাকর্মীদের টিকিৎসা করতে দেয়া হচ্ছে না। যারা আহত হয়ে হাসপাতালে টিকিৎসা নিতে গেছে তাদের রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ মুমূর্ষু কর্মীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পর্যন্ত নিতে দিচ্ছে না বলে এ সময় তিনি অভিযোগ করেন।

‘বুধবারের ঘটনা নিয়ে বেলা ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ জরুরি সভা ডাকা হয়। কিন্তু পুলিশ সকাল থেকেই নিরাপত্তার অজুহাতে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বাসা ঘিরে রাখে। সভার উদ্দেশ্যে আসা নেতাকর্মীদের বাড়ির বাইরে অবস্থান করা পুলিশ সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি।’ এটা কিসের আলামত প্রশ্ন তুলে বিসিসি প্যানেল মেয়র এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের দাবি জানান।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ.কে.এম জাহাঙ্গীর হোসাইন, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আফজালুল করিম, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সাঁটানো অবৈধ ব্যানার অপসারণ কেন্দ্র করে সিটি মেয়রসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ওপর পুলিশ ও আনসারের রাতভর তিন দফা গুলি ও দফায় দফায় লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত হন বরিশাল সিটি মেয়র, সিটি  করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের পদবিধারী নেতাসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।

এ ছাড়া এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন জেলা আনসার কমান্ডারসহ পুলিশের দুইজন সদস্য। ঘটনার পর থেকেই নগরীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নগরীতে পুলিশ, র‌্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি নগরীতে ১০ প্লাটুন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্য মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

অনলাইন ডেস্ক

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত