প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান ও নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমানের নামে ঝিনাইদহে পাঁচ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে। সোমবার ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কালীগঞ্জ) আদালতে মামলাটি করেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। মামলার অন্য আসামি হলেন সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান।
গত ৬ আগস্ট প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষকে নিয়ে সাংসদের আপত্তি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনারের কারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৪ মাসের বেতন বন্ধ, কলেজ সরকারিকরণকালে অবৈধভাবে ২০ জনকে নিয়োগ প্রদান, অধ্যক্ষকে কলেজে প্রবেশে বাধা প্রদান এবং কয়েক দফা অধ্যক্ষকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে সংসদ সদস্য আনার মানহানির এ মামলাটি করেছেন।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছি। জনগণের ভোটে পৌর কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আমার রাজনৈতিক সাফল্যে ঈর্ষাণ্বিত হয়ে একটি মহল তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে আমাকে নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে।’
‘এলাকায় আমার সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ায় আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আদালতে পাঁচ কোটি টাকার মনহানির মামলা করেছি।’
২০১৮ সালের ৮ আগস্ট আলোচ্য কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়। এই কলেজে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে নানা সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মামলা প্রসঙ্গে প্রথম আলো পত্রিকায় ঝিনাইদহে কর্মরত নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমান সুবর্ণভূমিকে বলেন, ‘প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ সত্য তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা। প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বক্তব্যও আছে। অর্থাৎ এটি কোনো একতরফা প্রতিবেদন ছিল না। সংশ্লিষ্ট সবাই আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেয়েছেন। তারপরও মামলা হয়েছে। আমি মনে করি, এটি হয়রানিমূলক।’
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি