বাঘারপাড়া প্রতিনিধি : বাঘারপাড়ায় পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মরকলিপি প্রদান। গতকাল সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করে বাঘারপাড়া কৃষক ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ।
স্মারকলিপিতে যে সকল দাবির কথা উল্লেখ করা হয় তা হলো, ধানের মূল্য হবে ১হাজার ৫শত টাকা এবং প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে নগদ মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা, একজন প্রান্তিক কৃষক যতটুকু ধান বিক্রয় করতে চায় তা ক্রয়ের ব্যাবস্থা রাখা ও ওজন চুরি ও ভিজা বা চিটার অজুহাত দূর করা, কৃষকের সারা বছর কাজের ব্যাবস্থা রাখা ও তাদের জন্য সেনাবাহিনী বা পুলিশ বাহিনীর মূল্যে রেশনিং ব্যাবস্থা চালু করা, করোনাকালীন সময়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমিউনিটি কেন্দ্রে এমবিএিস ডাক্তার নিয়োগ ও করোনা নমুনা সংগ্রহ করা এবং করোনাকালীন সময়ে কৃষিনিতির জন্য প্রদত্ত প্রণোদনা প্রকৃত কৃষককে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষক ক্ষেতমজুর প্রস্তত কমিটির যশোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক কমরেড বিপুল বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষক ক্ষেতমজুর সমিতির বাঘারপাড়া শাখার সাধারন সম্পাদক সুমন কর, কৃষক ক্ষেতমজুর প্রস্তত কমিটির বাঘারপাড়া শাখার সম্পাদক আব্দুল ছবুর, একই সংগঠনের জামদিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আজাদ আলি, সুমন পোদ্দার, জীতেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও রুহুল আমীন।
কমরেড বিপুল জানান, ‘একজন কৃষকের বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ১হাজার টাকা যে খরচ হয়। সেখানে সরকার প্রতি মন ধানের দাম নির্ধরণ করে মাত্র ১ হাজার ২৬ টাকা। সারা বছর হাড় ভাঙ্গা খাটুনির লাভ মাত্র ২৬ টাকা ? তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি ধানের মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে। যা অবশ্যই ১৫শ টাকার কম নয়’।
বাঘারপাড়ায় কৃষক ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের স্মারকলিপি
- Advertisement -
- Advertisement -