কালীগঞ্জে চুরি হয়ে যাওয়ার ১৫ ঘণ্টা পর নবজাতককে উদ্ধার করেছে র্যাব।মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর দাসপাড়ার প্রিয়া খাতুন-জাহাঙ্গীর দম্পতির বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় প্রিয়া খাতুন ওরফে মিনারাকে আটক করে র্যাব।
তারা ওই এলাকায় রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। উদ্ধারের সময় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় কালীগঞ্জ শহরের একটি ক্লিনিক থেকে নবজাতকটি চুরি হয়ে যায়। শিশুটি কালীগঞ্জ পৌরসভার বলিদাপাড়া এলাকার ইজিবাইক চালক মনিরুল ইসলামের সন্তান।
বাচ্চাটি চুরি হয়ে যাওয়ার পর স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং ক্লিনিক মালিক ও সংবাদকর্মীদের উপর হামলা করে। এরপর শিশুটি উদ্ধারে মাঠে নামে ঝিনাইদহ র্যাব ও পুলিশের পৃথক কয়েকটি টিম।
র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামাল উদ্দিন জানান, ঘটনাটি জানার পর থেকেই চুরি হওয়া কন্যা শিশুটিকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় র্যাবের একাধিক টিম। গোপন সংবাদে জানা যায়, নিশ্চিন্তপুর দাসপাড়ায় রয়েছে শিশুটি। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রিয়া খাতুন-জাহাঙ্গীর দম্পতির বাড়ি থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত প্রিয়া খাতুনকে আটক করা হয়। তবে স্বামী পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে প্রিয়া জানিয়েছে- দীর্ঘদিন তাদের সন্তান হচ্ছিল না। তাই দু’জন পরামর্শ করে শিশুটিকে চুরি করে।
চুরি হয়ে যাওয়া শিশুর বাবা মনিরুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে তার স্ত্রীর প্রসববেদনা শুরু হলে সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে সিজারের মাধ্যমে কন্যা সন্ত্যান ভূমিষ্ট হয়। এরপর ক্লিনিকের ২০৩ নম্বর কেবিনে রাখা হয়। বিকেলে এক অপরিচিত মহিলা এসে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আদর করে এবং বিভিন্ন ধরনের গল্প করতে থাকে। এরপর মহিলাটি ক্লিনিকের রিসিপশনে বসে ছিল। সন্ধ্যায় শিশু এবং তার মায়ের সাথে স্বজনরা যখন ইফতার নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তখন কোনা এক সময় বাচ্চাটিকে নিয়ে চলে যায় ওই নারী।
তিনি বলেন, তবে সন্তান ফিরে পাওয়ার পর আমি এবং আমার পবিারের সবাই খুশি।
র্যাবকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছে শিশুটির পরিবার।
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
