দীর্ঘ ১৩ বছর পর এমপি, পৌর মেয়রসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে বাবার সম্পত্তি বুঝে পেয়েছিলেন সোনিয়া পারভীন লিখন। যা অবৈধভাবে ভোগ দখলে রেখেছিলেন কাউন্সিলর এবাদত সিদ্দিকী বিপুল। সম্পত্তি ফিরে পাবার সাত মাসের মাথায় ওই সম্পত্তি ফের ছিনিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিপুল। কাউন্সিলরের দাপট দেখিয়ে ওই জমিতে দিচ্ছেন অস্ত্রের মহড়া ও হুমকি। জীবনের নিরাপত্তা ও পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষায় বাধ্য হয়ে তিনবোন প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেন।
শনিবার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরে ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় বোন সোনিয়া পারভীন লিখন বলেন, কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা আবু বক্কার সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর ওয়ারেশ সূত্রে তারা তিন বোন ও এক ভাই বাবার সম্পত্তির মালিক। বাবার মৃত্যুর ১৩ বছর ধরে বিপুল এ সম্পত্তি ভোগ করে আসছেন। বিপুলকে সম্পত্তি ভাগ করে অংশ বুঝিয়ে দিতে বললে নানা তালবাহানা করেন। প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়ার পর বিষয়টি নজরে আসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য, পৌর মেয়রসহ গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বাড়ির পাশের পুকুরের ভিতর ৩০ শতক ও মাঠের ২০ শতক জমি বিপুল ছাড়তে বাধ্য হন। পরে তিন বোন মিলে পুকুর ভরাট করে ওই জমিতে স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু করেন। এরপর বিপুল ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, বিভিন্ন সময় বিপুল তার লোকজন নিয়ে শ্রমিকদের কাজে বাধা দেন। সর্বশেষ শনিবার কাজ দেখার জন্য ওই জমিতে যান। এসময় বিপুল ও তার লোকজন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেন এবং বোনদের মারপিট করেন। এসময় এলাকাবাসী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে বিপুল হুমকি দিয়ে চলে যায় ওই জমিতে কাজ হলে খুন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত অপর দু’ বোন শাহানাজ পারীভন দিপা ও আইরিন হোসেন লিপি উপস্থিত ছিলেন।
বোনদের অভিযোগ, বিপুল কাউন্সিলর হওয়ায় ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন। কেউ ওই জমি তার কাছ থেকে নিতে পারবেনা বলেও হুংকার দিচ্ছেন। তারা এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিশেষ প্রতিনিধি