যশোরের বসুন্দিয়া মীরপাড়ার সৈয়দ সরোয়ার হোসেনের (৪৮) খুনের ঘটনায় আটক ছেলে নয়ন হেসেনকে (২৫) আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।
এ হত্যাকান্ডে নিহতের বোন মঞ্জিলা বেগম থানায় মামলা করেছেন। মামলায় শুধু নয়নকে আসামি করা হয়েছে। স্বামী স্ত্রীর গোলযোগ, অতঃপর ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলে ঘটনায় সম্পৃক্ত হয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে একটি মেয়েলী ঘটনা নিয়ে গোলযোগের সূত্রপাত বলে দাবি পুলিশের।
থানা ও পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ৯ এপ্রিল রাতে সৈয়দ সরোয়ার হোসেন দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। এরপর তার সাথে একটি মেয়েলি ঘটনা নিয়ে স্ত্রী হাসিনা বেগমের গোলযোগ হয়। সরোয়ার হোসেন উত্তপ্ত কথাকাটাটির এক পর্যায়ে হাসিনাকে বেদম মারপিট করেন। এ সময় তার ছেলে নয়ন হোসেন ঘুমিয়ে ছিল। হাসিনা বেগম ঘুম থেকে ডেকে ছেলেকে মারপিটের বিষয়টি জানিয়ে বাড়ির পাশে বাগানের দিকে চলে যান। এরপর সরোয়ার হোসেন বাগানে গিয়ে টেনে হিঁচড়ে স্ত্রীকে ঘরে আনার চেষ্টা করেন। এসময় নতুন করে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হলে ছেলে নয়ন ঘরের দরজার ডাসা দিয়ে বাবাকে মারপিট করে। লাঠির আঘাতে সরোয়ার হোসেন গুরুতর জখম হলে পরিবারের লোকজন তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার আরো অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে খুলনায় রেফার করা হয়। পথিমধ্যে ওই রাতেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ১০ এপ্রিল সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় হন্তারক ছেলে নয়নকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আটক নয়ন নেশাখোর এবং এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের হোতা। তার কঠিন শাস্তির দাবি তাদের। এ ঘটনায় নিহতের বোন তানজিলা বেগম জানিয়েছেন, ভাবি হাসিনা প্রথমে পরিবেশ ঘোলাটে করেন। ভাই বাড়ি আসলে ঝগড়া শুরু করে তুচ্ছ ঘটনায়। আবার ছেলেকেও লেলিয়ে দেয় বাবার উপর। এ ব্যাপারে ভাবি হাসিনাও দোষী।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় ছেলে নয়ন একাই জড়িত। তাকে আটক করা হয়েছে। হত্যা মামলায় আদালতে চালানও দেয়া হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় বোন মঞ্জিলা বেগমের দেয়া অভিযোগটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড হয়েছে।
রাতদিন সংবাদ