যশোরের মণিরামপুরে হাত, পা ও মুখ চেপে ধরে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তিন শিশুর বিরুদ্ধে। শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার পলাশী পশ্চিমপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে বাড়ির পাশে একটি বাগানে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
অভিযুক্ত তিন শিশু হচ্ছে, পলাশী পশ্চিমপাড়ার কামরুল হাসানের ছেলে খাইরুল (১৩), বাবলু হোসেনের ছেলে রানা (১৩) ও রাশিদা খাতুনের ছেলে মামুন (১২)। মামুনের বাবার নাম জানা যায়নি। পলাশী গ্রামে মায়ের সাথে নানা কপিল উদ্দিনের বাড়িতে থাকে সে।
শিশুটির মা বলেন, দুপুরে মেয়ে গোসল করে খেলতে যাচ্ছিল। তখন রাস্তা থেকে রানা, খাইরুল ও মামুন খেলার কথা বলে তাকে পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে একটি গর্তে ফেলে ওরা তিনজন হাত পা ও মুখ চেপে ধরে মেয়ের সর্বনাশ করার চেষ্টা করে। ঘটনাটি আমার প্রতিবেশী এক জা দেখে ফেললে ওরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী বলেন, বাগানে ছাগল খাওয়াতে গিয়ে কথা শুনতে পাই। এগিয়ে গিয়ে দেখি বাচ্চাটা বারবার মাথা নাড়াচ্ছে। কিছু বলতে পারছে না। ওরা তিনজন শিশুটিকে চেপে ধরে রেখেছে। আমি কাছাকাছি গেলে ওরা পালিয়ে যায়।
খেদাপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই গোলাম রসুল বলেন, খবর পেয়ে বিকেলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বাচ্চা ও তার স্বজনদের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি।
মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুটির বাবার সাথে কথা হয়েছে। তিনি বাদি হয়ে মামলা করছেন।
বিশেষ প্রতিনিধি