অভয়নগরের নূর আলী মেম্বার হত্যার যোগসূত্রে অভয়নগর সিদ্ধিপাশা থেকে অস্ত্রসহ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।আটককৃত হল অভয়নগর উপজেলার নাউলী আড়পাড়া গ্রামের গফফার গাজীর ছেলে সুলতান গাজী (২৮) এবং নাউলী উত্তরপাড়ার মোসলেম আকুঞ্জির ছেলে ফুরকান আকুঞ্জি (৩০)।
আজ শুক্রবার ( ১২মার্চ ) রাত বারটা ত্রিশ মিনিটের দিকে মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে অভিযান পরিচালনা করে দু‘ই যুবককে আটক করে।পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তিতে এদের কাছ থেকে ১টি দেশীয় তৈরী শাটারগান, ২টি রাম দা ও ৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করেন পুলিশ।
জানা যায়, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এঁর দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, পিপিএম ও যশোর “খ” সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের গনের সহযোগীতায় জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশের নেতৃত্বে ডিবি’র একটি চৌকশ টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা ও অভয়নগর শুভরাড়া ইউপি সদস্য নুর আলী শেখের হত্যার রহস্য উদঘাটনের নিমিত্তে বৃহস্প্রতিবার (১১ মার্চ ) গোপন তথ্য সংগ্রহ করাকালে জানতে পারেন যে, নুর আলী শেখের সহচর ইছামতি গ্রামের জনৈক ফারুক খান, পিতা- হাসান আলী খানকে কে বা কাহারা একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে নূর আলী শেখের মতো তাকেও হত্যা করা হবে মর্মে হুমকি দেয়।উক্ত মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিপাশা নাউলী আড়পাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা হুমকির কথা স্বীকার করে এবং তাদের কাছে অবৈধ অস্ত্র পাওয়ায় এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় অস্ত্র আইনের ১৯ ক ও চ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নূর আলী শেখ মেম্বারের হত্যা সংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ন তথ্য ও জড়িতদের নাম ঠিকানা পাওয়া গিয়াছে। থানা পুলিশ, ডিবি, পিবিআই ও র্যাব পৃথক পৃথকভাবে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জোড় চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ই মার্চ রবিবার রাত আনুমানিক ৮ টার সময় শুভরাড়া ইউনিয়নের শুভরাড়া গ্রামের বাবুরহাট নামকস্থানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নুর আলী মেম্বার নিহত হন এবং এসময় তাঁর ছেলে ইব্রাহিম (১৬) গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
রাতদিন সংবাদ