যশোরের চৌগাছায় সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই হামলায় মফিজুর নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। হামলার সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করলে সন্ত্রাসীরা প্রেস লেখা মোটরসাইকেল ও একটি চাকু ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী মোটরসাইকেল ও চাকটিু উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে চৌগাছা বাজারে পাঁচনামনা গ্রামের পিকআপচালক মফিজুর রহমানের সাথে পিতাম্বরপুর গ্রামের পিকআপচালক সেলিমের কথাকাটাকাটি হয়। এই ঘটনা স্থানীয়রা মিমাংসা করে দেন। কিন্তু ঘটনার সূত্র ধরে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেলিমের ভাই একাধিক মামলার আসামি, সাংবাদিক নামধারী মামুনের নেতৃত্বে গরীবপুর গ্রামের সাংবাদিক নামধারী রায়হান, পিতাম্বরপুর গ্রামের সহোরাব, আমিনুর, আশিকুলসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী ধারাল অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলা পরিষদ এলাকায় যায়। তারা পিকআপচালক মফিজকে পেয়ে তার ওপর হামলা চালায়। হামলায় মারাত্মক আহত হন মফিজ।
এই অবস্থায় স্থানীয়রা সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করেন। এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা প্রেসলেখা মোটরসাইকেল ও একটি চাকু ফেলে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও চাকুটি উদ্ধার করেন। এগুলো ছাত্রলীগ নেতাদের হেফাজতে আছে বলে জানান স্থানীয়রা।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হলেও মামুন ও রাইহান যশোর থেকে আসা এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধার মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করা। যার রেজিস্ট্রেশন নেই।
হামলায় আহত মফিজুর রহমান জানান, যারা হামলা চালিয়েছে তারা সকলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের কাছে থাকা মোটরসাইকেলে প্রেস লেখা ছিল।
এ বিষয়ে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘ঘটনাস্থলের পাশে আমার বাসা। অসুস্থ থাকায় আমি শুয়ে ছিলাম। পরে শুনলাম হামলা হয়েছে। এটা দুঃখজনক’।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আমাদের জানা নেই। এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি’।
বিশেষ প্রতিনিধি