Sunday, May 19, 2024

অনুমোদন ছাড়া পুকুর-খাল ভরাট করা যাবে না

এখন থেকে পুকুর, ডোবা, খাল-বিল, নদী, কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক জলাধার ভরাটের প্রয়োজন হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হবে।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জাতীয় পরিবেশ কমিটির নির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
বৈঠক শেষে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘পুকুর, ডোবা, খাল-বিল, নদী, কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক জলাধার ভরাট বা শ্রেণি পরিবর্তন করতে নিরুৎসাহিত করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে ভরাট করার প্রয়োজন হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থার আওতাধীন প্রাকৃতিক জলাশয় ও পুকুর বাধ্যতামূলকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। উন্নয়ন পরিকল্পনায় কোনো ভরাট কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।
ইটভাটা আইন ২০১৯ বান্তবায়ন কৌশল নিয়ে পর্যালোচনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ছিদ্রযুক্ত ইট তৈরি এবং বিভিন্ন ধরনের ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহার ধাপে ধাপে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ব্লক ইট তৈরিতে শুল্ক হ্রাস বা সরকারি প্রণোদনা দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে সরকারের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পে ব্লক ইট ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি গাইডলাইন বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনে একটি তদারকি কমিটি গঠন করা যেতে পারে।’
পাহাড়-প্রতিবেশ সংরক্ষণে অবৈধভাবে পাহাড়কাটা বন্ধ করা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে পাহাড় কাটার প্রয়োজন হলে বাধ্যতামূলকভাবে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিতে হবে। পাহাড় কাটার কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট প্রত্যাশী সংস্থা থেকে কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে।  অবৈধভাবে পাহাড় কাটা বন্ধে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে।’
নির্মাণজনিত ও যানবাহনজনিত বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ নেয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্মাণ কাজের টেন্ডার সিডিউলে বায়ুদূষণ রোধে সুস্পষ্টভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম চিহ্নিত করতে হবে। কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্টের পাশাপাশি বিআরটিএ এবং পুলিশ প্রশাসনের দৃশ্যমান কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে গাড়ির কালো ধোঁয়া নির্গমণ পরীক্ষা করতে হবে। নিয়মিতভাবে পর্যাযক্রমে ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সহায়তায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বিভিন্ন বিভাগীয়, জেলা শহর ও পৌরসভার মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জরুরি ভিত্তিতে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পরিবেশবান্ধব ইনসিনারেটর, ইটিপি ইত্যাদি স্থাপন করতে হবে। পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে জৈবপচনশীল ব্যাগের ব্যবহারে সরকার প্রণোদনার মাধ্যমে উৎসাহ প্রদান করবে।’ পাশাপাশি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক রিসাইক্লিং শিল্পকে প্রণোদনা দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
অনলাইন ডেস্ক
- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত