এসআই আজম মাহমুদ মামলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত হয়ে সর্বশেষ কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন। তিনি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের বজলুর রশিদের ছেলে।মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০০ সালে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর এলাকার একরাম আলীর মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে বিয়ে করেন আজম মাহমুদ। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন আজম। পুলিশের এএসআই পদে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য দেড় লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে গ্রহণ করেন। পরে এসআই পদে পদোন্নতির জন্য ফের ৫ লাখ টাকা যৌতুক নেন। এরপরও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। আজম চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় কর্মরত থাকলেও স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে যেতেন না। সর্বশেষ আজম ২০১৮ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় চাকরিকালে জান্নাতুল নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। এ বিষয়ে আপত্তি তোলায় ফের নির্যাতন শুরু হয় রাবেয়ার ওপর।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, এ মামলায় আজম মাহমুদের বিরুদ্ধে তার গর্ভধারিণী ফিরোজা বেগম সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি আদালতে পুত্রবধূর ওপর গা শিউরে ওঠা নির্যাতনের বর্ণনা দেন। দীর্ঘশুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজম মাহমুদকে বিচারক তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
রাতদিন সংবাদ