মণিরামপুর উপজেলার সকল ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের হাতে তুলে দেয়া হলো স্মার্ট ফোন। ১৯টি ফোনের সাথে দেয়া হয়েছে ক্রমানুযায়ী ১৯টি সিমকার্ড। যে মোবাইল নম্বরটি এখন থেকে ডিজিটাল সেন্টারের ডিজিটাল পরিচিতি হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ইউনিক পরিচিতি, প্রশাসনিক যোগাযোগ আর পারস্পরিক শিখন প্রক্রিয়ার জন্য এই ফোন বিতরণ করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানালেও আবেগ আপ্লুত উদ্যোক্তারা এটিকে দেখছেন ডিজিটাল সেন্টারের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি হিসেবে।২০১০ সালের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক একযোগে উদ্বোধনের পর থেকে তৃণমূলে কম সময়ে, কম খরচে, হয়রানিমুক্ত সেবা প্রদানে বাতিঘর হিসেবে কাজ করে চলেছে ডিজিটাল সেন্টার। করোনাকালে তথ্য উপাত্ত প্রস্তুত, সংরক্ষণ, প্রশাসনিক যোগাযোগ ও সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ডিজিটাল সেন্টারের উদোক্তারা। তাদের সেই অবদানের স্বীকৃতি, অবদানকে স্মরণীয় রাখা এবং আগামীতে ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রমকে গতিশীল করার অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য উদ্যোগ নেন মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান। উপজেলা পরিষদের সভায় তিনি উদ্যোক্তাদের কাজের স্বীকৃতির বিষয়টি প্রস্তাব করলে কমিটি তা অনুমোদন দেন। উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় এই স্মার্ট ফোন বিতরণ করা হয়।
স্মার্ট ফোন পেয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে রোহিতা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মণিরামপুর উপজেলার সকল উদ্যোক্তাদের জন্য আজকের দিনটি স্মরণীয়। ডিজিটাল সেন্টারের শুরু থেকেই যুক্ত আছি, আমাদের জন্য গৃহীত এ উদ্যোগে ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেল’।নেহালপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আসাদুল হক বলেন, ‘স্মার্ট ফোন হাতে পেলেও এর অন্তরালে উপজেলা থেকে এক বুক ভালোবাসা নিয়ে ফিরছি। আমার জানামতে, দেশে এই প্রথম কোনো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমন উদ্যোগ নিলেন। ডিজিটাল জেলা যশোর সব সময়েই উদ্ভাবনী উদ্যোগে অগ্রগামী সেটা আবারও প্রমাণিত হলো’।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, তৃণমূলে সেবা প্রদানে ডিজিটাল সেন্টার প্রশাসনের অপরিহার্য অংশ। ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা নানাভাবে প্রশাসনের কাজে সহযোগিতা করে আসছেন। বিশেষ করে করোনাকালে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। সেই অবদানের স্বীকৃতি আর অধিকতর উৎসাহ প্রদানের ভাবনা থেকে এই উদ্যোগ নেয়া। যেহেতু প্রশাসনিক যোগাযোগ আর সেবার জন্য সেবা গ্রহীতাদের প্রতিনিয়ত ডিজিটাল সেন্টারের সাথে যোগযোগ করতে হয়। সে জন্যই স্মার্ট ফোন আর ইউনিক একটি নম্বর অফিসিয়ালি দেয়া হলো যাতে ডিজিটাল সেন্টারের সাথে সবাই যুক্ত হতে পারে। আশা করছি সেবা সহজীকরণে ডিজিটাল সেন্টারগুলো আরো বেশি গতিশীল হবে।
সোমবার বেলা এগারটায় মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্মার্ট ফোন বিতরণী অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ কুমার দেবনাথ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শুভ্রা রানী দেবনাথ, জনপ্রতিনিধিসহ মণিরামপুর উপজেলার ১৯টি ডিজিটাল সেন্টারের সকল উদ্যোক্তাগণ উপস্থিত ছিলেন ।
বিশেষ প্রতিনিধি