ঢাকায় চাকরি দেয়ার কথা বলে নারীকে ভারতে পাচার মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা ভিকটিম পরিবার পাবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। পলাতক আসামি ফরিদা বেগম শহরের বেজপাড়া এলাকার মিনুর বাড়ির ভাড়াটিয়া রেজাউল ইসলামের স্ত্রী। এছাড়া এ মামলায় অপর তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। তারা হলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামির স্বামী ও মৃত আইনুদ্দিনের ছেলে রেউাউল ইসলাম, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আসলাম শেখের স্ত্রী নিলুফা ওরফে মিনুকা ও বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামের এরশাদ আলী মোড়লের ছেলে আফেল উদ্দিন ওরফে আফে। বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক টি এম মুসা এ আদেশ দেন।
এরআগে ২০০৯ সালের ১৩ জুন যশোর সদর উপজেলার খরিচা ডাঙ্গা এলাকার রাবেয়া খাতুন নামের এক গৃহবধৃকে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতের বোম্বে পুনে শহরে নিয়ে বিক্রি করে আসে। এরপর রাবেয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ঘটনা জানতে পেরে রাবেয়ার ভাই আহাদ আলী কোতোয়ালি থানায় ওই চারজনের নামে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে কোতোয়ালী থানার এসআই তাছলিমা ওই চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমাদেন। বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষনা করেন আদালত।
রাতদিন সংবাদ