বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু রাত সাড়ে ১০ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সামসুল হুদা দীর্ঘ নয় বছর ধরে যশোর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। ২০১১ সালে জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি চৌধুরী শহিদুল ইসলাম নয়ন মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সামছুল হুদা।
সামসুল হুদা ছাত্রলীগের যশোর জেলার প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। সেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে সামছুল হুদা বিএনপিতে যোগ দেন।
আগামীকাল বিকেল তিনটায় শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহরের লালদিঘির পাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সামছুল হুদার মরদেহ আনা হবে। এরপর আসরবাদ ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান সাবেরুল হক সাবু। তবে, কোথায় তাকে দাফন করা হবে সে বিষয়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন,সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সদস্য গোলাম রেজা দুলু, মিজানুর রহমান খান, আব্দুস সালাম আজাদ ও হাজি আনিছুর রহমান মুকুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, জেলা যুব দলের যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পী। তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।