মনিরামপুর প্রতিনিধি: যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় মাঠ থেকে জালাল উদ্দিন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি পেশায় চা দোকানি।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এলাকাবাসী মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। তিনি ওই গ্রামের আজিবর বিশ্বাসের ছেলে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জালাল উদ্দিন বিশ্বাস বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ি থেকে খালিয়া মোড়ে নিজের চায়ের দোকানের উদ্দেশ্যে বের হন। এসময় কে বা কারা তাকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মরদেহ বাড়ির অদূরে রাস্তার পাশে একটি ধানখেতে ফেলে রাখে। মরদেহের মাথা ও মুখের ওপর মাটিচাপা দিয়ে রাখে খুনি বা খুনিরা। সকালে আবু তালেব নামে স্থানীয় এক বক্তি খেজুর গাছে রস পাড়তে যাওয়ার সময় মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি এলাকার অন্যান্যদের বিষয়টি জানান। পরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে পুলিশ খবর পায়।
মণিরামপুর সদর সার্কেলের এএসপি সোয়েব আহমেদ খান, মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইলাম, ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান ও রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর শাহজাহান আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, হত্যার কোনো কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। হত্যার কারণ উদঘাটনে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।
খালিয়া মোড়ে জালাল উদ্দিন বিশ্বাসের একটা চায়ের দোকান রয়েছে। প্রায় দু’যুগ তিনি এখানে ব্যবসা করেন। তার স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর তিনি বাড়ি থেকে দোকানে যান। কারও সাথে তার কোনো শত্রুতা ছিল কি না তা বলতে পারেননি শাহিদা।
ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু বলেন, গ্রামে কারও সাথে জালাল বিশ্বাসের শত্রুতা ছিল না। কী কারণে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে তাও তিনি বলতে পারেন না বলে জানিয়েছেন।