অন্যের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগে পুলিশ সদস্য আবদুর রহমান কনককে ক্লোজ করা হয়েছে। ওই নারী রংপুর মহানগরের তাজহাট এলাকার বিপ্লবের স্ত্রী। এ দম্পতির ১২ বছরের সংসার জীবনে দুই সন্তান রয়েছে কনক যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
গত ২৫ নভেম্বর ওই নারী পুলিশ সদস্য আবদুর রহমানের সঙ্গে পালিয়ে যান। স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই ওই নারী পুলিশ সদস্যের সঙ্গে যশোরের ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। গত ৪ জানুয়ারি ওই নারীর স্বামী বিপ্লব রংপুরের তাজহাট থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।এসপি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, বুধবার কনস্টেবল কনককে ক্লোজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিপ্লবের স্বজনরা জানান, স্বপ্না খাতুনের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কনক। গত ২৫ ডিসেম্বর স্বপ্না চার বছর বয়সী কন্যাকে নিয়ে কনকের সঙ্গে পালিয়ে যায়। কনকের কর্মস্থল যশোরে হওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। যদিও কনকের প্রথম স্ত্রীর সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। প্রথম পক্ষের স্ত্রী থাকার বিষয়টি গোপন রেখে স্বপ্না ও তার কন্যাকে নিয়ে বসবাস করেন।এদিকে স্ত্রী সন্তানের সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন স্বামী। এক পর্যায়ে তিনি শনাক্ত করেন তার স্ত্রী পুলিশ সদস্য কনকের সঙ্গে পালিয়েছে। গত ৪ জানুয়ারি রংপুরের তাজহাট থানায় অভিযোগ দেন বিপ্লব। কিন্তু থানা মামলা গ্রহণ করেনি। তারা বলেছে, তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রহমান কনক বলেন, তাকে ভাগিয়ে কিংবা অপহরণ করিনি। ওই নারী স্বেচ্ছায় আমার কাছে চলে এসেছে। মোবাইল ফোনে পরিচয় থেকেই আমাদের সম্পর্ক হয়। শুনেছি তিনি তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েই এসেছেন।
রাতদিন সংবাদ