যশোর শহরের বড়বাজারের আটাপট্টিতে বিক্ষোভ ও ধর্মঘট করেছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় এক যুবক বিভিন্ন সময় শ্রমিকদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকি দেয়ায় তারা এ বিক্ষোভ ও ধর্মঘট পালন করেন।
বুধবার দুপুর ১২টা থেকে দুটো পর্যন্ত ধর্মঘট পালন করেন ব্যবসায়ীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই যুবক ক্ষমা চান। এরপর বাজার কমিটির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।গণেশ চক্রবর্তী নামে আটাপট্টির একটি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান, বুধবার ভোরে তাদের দোকানের সামনে পালু, শ্যামল, সাইদুলসহ কয়েকজন শ্রমিক ট্রাক থেকে মালামাল আনলোড করছিলেন। ওই সময় বিতর্কিত ওই যুবক তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একইসাথে ট্রাক সরিয়ে নিতে বলে মারপিটের হুমকি দেন। তার দাবি, করেন ভোরে মালামাল নামালে তার ঘুমের ডিস্টার্ব হয়! পদ্মা স্টোরের মালিক সোহান ইসলাম বলেন,বাজারের ব্যবসায়ী রামকুমার পোদ্দার ওইসময় ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি তাকে ফোন করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধের কথা বলেন। এরপর তিনি বিষয়টি বাজার কমিটির সভাপতিকে জানান। পরে শুনেছি বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাজার কমিটির সভাপতি মীর মোশাররফ হোসেন বাবু বলেন,অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি ঘটনাস্থলে যান। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি বিষয়টি প্রশাসনকেও অবহিত করেন। পরে ওই যুবককে ডেকে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসেন। বৈঠকে ওই যুবক দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবে না বলে অঙ্গীকার করে। সে মাফ চাওয়ায় দুপুর দুটোর পর ব্যবসায়ীরা দোকান খোলে এবং শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন।
রাতদিন সংবাদ