যশোর-মাগুরা সড়কের হুদোরাজাপুর নামকস্থানে যাত্রীবাহী বাস উল্টে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ জন। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কে হুদোরাজাপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বিয়াশপুর গ্রামের শারাফাত হোসেনের ছেলে শাহীন (১৫) ও মনিরামপুরের সিংড়ার ইসমাইল হোসেনের ছেলে মাহাদী হাসান (১৮)। তারা দুইজনই হুদোরাজাপুর হামিউস সুন্না কওমি মাদ্রাসার ছাত্র।
আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন- যশোরের তামিম হোসেন (২৫), শিমুল (৩২), আবদুল গফুর (৬০), আরাফাত হোসেন (৩), ইশান (৪), মনোয়ারা বেগম (৩৪), মাগুরার রবিউল ইসলাম (৪৫), আজিজ হোসেন (৫৭), নবীরুন নেছা (৪৪), রবীন্দ্রনাথ (২৮), আকিদুল (২৮) ও ভানু (৫৪)।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুপুরে বাসটি ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে মাগুরা থেকে যশোর যাচ্ছিল। বেলা আড়াইটার দিকে বাসটি যশোর সদরের হুদোরাজাপুর এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়িকে জায়গা দিতে গিয়ে বাসটি মহাসড়ক থেকে নিচে নেমে যায়। এরপর চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি উল্টে পড়ে। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও গিয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নেন। ১১ জনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এনাম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যরা চিকিৎসাধীন আছেন। পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত কয়েকজন বলেন, বাসটি মাগুরা থেকে যশোরে আসছিলো। দুপুর আড়াইটার দিকে হুদোরাজাপুরে পৌঁছলে গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তার নিচে নেমে উল্টে পড়ে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে অংশ নেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। অনেকে অল্প আঘাত পেয়েছেন, তারা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
রাতদিন সংবাদ