Saturday, May 18, 2024

রায়হান হত্যা মামলায়, রিমান্ড শেষে কারাগারে এসআই আকবর

- Advertisement -

সিলেটের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় প্রধান অভিযুক্ত সাময়িক বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে সাতদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আবুল কাশেম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।এর আগে গত ৯ নভেম্বর দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ভারত সীমান্তে আকবর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিংফিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানান জেলা পুলিশ সুপার।ব্রিফিং শেষে রাতেই আকবরকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন ১০ নভেম্বর বেলা দেড়টার দিকে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেমের আদালতে তাকে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।গত ১১ অক্টোবর ভোর রাতে রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করা হয়। পরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। ‘রায়হান ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন’ পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হলেও নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ ছিল পুলিশ ধরে নিয়ে ফাঁড়িতে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করেছে।এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরিবারের অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্ত দল ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর সত্যতা পায়। এতে জড়িত থাকায় ইনচার্জ আকবরসহ চার পুলিশকে বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন। ঘটনার পর অন্য ছয়জন পুলিশ হেফাজতে থাকলেও আকবর পলাতক ছিলেন।

অনলাইন ডেস্কঃ

 

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত