যশোরের ঝিকরগাছায় এক শিক্ষিকার আপত্তিকর ছবি বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করায় সাবেক স্বামীসহ চারজনকে আসামি করে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু অভিযোগটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন,ওই শিক্ষিকার সাবেক স্বামী বরিশালের হিজলা উপজেলার পূর্বকুরালিয়া গ্রামের হাফেজ মফিজুর রহমানের ছেলে রুহুল আমিন। যিনি বর্তমানে গাজীপুরের জয়দেবপুর উপজেলার পশ্চিম জাজর গ্রামে বসবাস করেন। জাজর গ্রামের মাহবুব আলম শাহীনের স্ত্রী মুন্নি আক্তার, বরিশালের কাজীরহাট উপজেলার আজমপুর গ্রামের পিন্টু ঘরামী ও তার ছেলে আসিফ ঘরামী।মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মামলার বাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ২০১৭ সালের পহেলা জানুয়ারি আসামি রুহুল আমিন ওই শিক্ষিকাকে বিয়ে করেন। সংসার করার সময় আসামি তার চাকরির জন্যে স্ত্রীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় রুহুল আমিন তার স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। এরমধ্যে রুহুল আমিন গোপনে স্ত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন। রুহুল আমিনকে ঋণ করে তার স্ত্রী যৌতুকের তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা দেন। তারপরও তাকে মারপিট ও নির্যাতন করা হয়। অবশেষে ওই শিক্ষিকা স্বামীকে তালাক দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল আমিন তার স্ত্রী ছবি বিকৃত করে ইমোর মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের কাছে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া,বাকি আসামিরা তাকে টাকা দাবি করে হুমকি দিত। শিক্ষিকা ভয়ে ও সম্মান রক্ষার্থে বিকাশের মাধ্যমে এক লাখ ৫৭ হাজার টাকা দেন আসামিদের। এরপরও আসামিরা তাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করতে থাকে। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
রাতদিন নিউজ :